Monday, October 31

অরুণ কুমার মহাপাত্র


রঙছুট মুল্লুকে 


দিনের মতো দিন চলে যায় 
কাঁপছি তবু আশঙ্কাতে
প্রিয় নামের নিঃশ্বাসে মোরা 
ভাঙছি তবু আঘাতে 
ভাঙাচোরা ঐ আকাশটাতে 

ইউসুফ হাওলাদার শাওন (বাংলাদেশ)


শেষ চিঠি


তোমাকে ভালোবেসেছি
নিজের থেকে অনেক বেশি,
আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে
তোমাকে দিয়েছি স্থান,
আজ আমার সমস্ত  অস্তিত্বে জুড়ে চৈএের  দাপাদাপি,

মনি জামান ( বাংলাদেশ )



সোনা পাখি-২



সোনা পাখি!তোমার ঠোট অধরে সেদিন রেখেছিলাম আমার প্রেম চুম্বন,তুমি উফঃ শব্দটি করে পাগলের মত জড়িয়ে ধরলে আমাকে।
তারপর পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে এলো ঝরণা,ঝরণার সিঞ্চন ঘামে ভিজলাম দুজন ক্ষণিক সময়।

লিংকন ( বাংলাদেশ )



অভিমান 




বড্ড অবহেলা করলে আমায়, ভালোবাসার আকর্ষণও কমে গেছে তোমার। দেখা করতে চাও না, না কথা বলতে,  চাও না খবরটুকু নিতেও। কেমন আছি আমি, তোমার জানতেও ইচ্ছে করে না এখন আর । 

Sunday, October 30

মনিরুজ্জামান প্রমউখ ( বাংলাদেশ )



ধোঁয়া উড়ে না 


অস্থিরতার ফুলদানিগুলো জমা করে বানিয়েছো 
গোপন রাগের পাহাড়। 
সে পাহাড়ে ওঠার জমাজাতীর কোনো সম্বল 
আমার সামর্থ্যে নেই। 

সুবর্ণ অফারের খোলা প্রান্তরের 
টিকেট তুমি পেয়েছো। 
কিন্তু নাওনি অবনিবনার মানদণ্ড খুঁড়তে খুঁড়তে। 

তবু দিনের অতিক্রমে দিন আসে পালক নিয়ে। 
নবো জাগরণের মোহ নিয়ে
পালিত হতে, দলিত হতে, মথিত হতে। 

আমরা ভালোবাসায় সমর্পিত হতে জানি না বোলে
ভালোবাসার চুরুট পাই ঠিকই। 
ধোঁয়া তাতে উড়ে না। 

পড়ুন এবং লিখুন

অন্যঋচ










web counter

তীর্থঙ্কর সুমিত


লতানো কলমিগাছে

লতানো কলমিগাছে
কত স্বপ্ন বিক্রি হয় প্রতিনিয়ত
আকাশের খোঁজে মেঘ হারিয়ে বৃষ্টি আসেনা
চোখের জলে নৌকা ভেসে যায়
অন্যের ঠিকানায়
প্রতিদিন হেঁটে চলেছে কেউ
সমুদ্র হতে সমুদ্র পথে নাবিক দাঁড়িয়ে,
দিক নির্ণয় এক অসমাপ্ত কাহিনী
তবুও প্রতিদিন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা
দর্শন আর দর্পন কখন যেন ফেরারী হয়ে

একটু বৃষ্টি দেবে স্নান করবো ভোরের আকাশে।

Saturday, October 29

সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক



মুখর মুখোটি 





মুখোটি–তারপরও মুখোটি – সংখ্যাতীত !

অবসাদ গণনাকারীর কণ্ঠহার। 

কেউ বলে, ঐ কর্ম কুকাজ 

কখনো শুনি, কাজটি বিরক্ত প্রহার। 

গণনার ভার অতএব বাহার 

শৌখিনতায় ঢাকা পাঁক। 

কিন্তু পাঁকেও ফোটে পদ্ম –

              বিস্ময়ে তাক !

এই পাঁক- পদ্মে গায়ত্রী মন্ত্র জাগে ,

          সুরাহার তুরীয় মুখটা ভাসে। 

মুখোটির মুখরতায় মুগ্ধতা হাসে 

           সংখ্যালঘুরা রুদ্ধ  বাক।

উজ্জ্বল দত্ত ( বাংলাদেশ )


এখন আর ভাল লাগে না


কোন কিছুই এখন আর ভাল লাগে না 
অস্থিরতার রঙিন হাওয়া 
বইছে তরঙ্গ নায়ের পাল তোলা বৈঠায়,
বসন্তের হলুদ পাখি বাসন্তীর মনপুরা গান
নিঝুম বেলার সান বাঁধানো উদাসীন পুকুর 
জোৎস্না মাখা স্বপনীল পৃথিবী
এখন আর ভাল লাগে না। 

শেখ আব্দুল খালেক ( বাংলাদেশ )



বিজলী ভয়াল মর্তে





মেঘে গর্জন করে তর্জন 

বিজলী ভয়াল মর্তে, 

নির্মম অতীব ভণ্ড বিভবে 

ঘৃণ্য মেকী শর্তে। 


যত আছে সব তস্কর সাধু

লিপ্ত ভয়াল কর্মে,

ওরা হিংসুক মঙ্গলনাশী

দেহ ঢাকা সব চর্মে। 


ওরা দাম্ভিক ওরা নির্মম 

নিষ্ঠুর ধরাতলে, 

হৃদয়ে গহীনে সুপ্ত অনল 

লেলিহান শিখা জ্বলে। 


ওরা দুস্তর রক্ত পিপাসু 

মানবের দুশমন,

নিধন যজ্ঞে মেতে ওঠে ওরা 

হানা দেয় ক্ষণে ক্ষণ। 


শান্ত ধরায় আসুর আত্মা 

লালসায় উন্মাদ,

অভাগা জাতি পায় না মুক্তি 

আঁধারে ভবিষ্যৎ। 


লাসের গন্ধে ধরণী নিথর 

ধ্বংসে রাক্ষস-পতি, 

অন্ধ বিবেক হননে মত্ত 

নাই তো মানব প্রীতি। 


লালসার ফাঁদে মানবতা কাঁদে 

সত্যের আলো ক্ষীণ,

সৃষ্টির সেরা বিশ্বমানব 

তব কি ধরায় হীণ! 


বন্দি জগৎ অসৎ শর্তে

মেলে না মুক্তি-পথ,

আলোর ভুবনে অন্ধ জগৎ 

আঁধারে ভবিষ্যৎ। 


জ্ঞানের রাজ্যে শোষকের থাবা

নির্মম অসহায়, 

কন্ঠ রুদ্ধ সূর্য আঁধারে

বিনাশের শোভা পায়। 


শুনরে যোয়ান চিৎকার ধ্বনি 

নিত্য বাতাসে ভাসে,

মৃত্যু শঙ্কা হৃদয়ে গভীরে 

কেঁদে মরে সব ত্রাসে। 


প্রলয় মত্তে অসুর আত্মা 

মানে না ধর্ম-বাণী, 

রুখ দাও যতো আসুর আত্মা 

বাঁচাও বিশ্বখানি। 

কল্যানী ব্যানার্জি


অবাঞ্ছিত

সুর্যের কঠোর তাতে পুড়ে যাওয়া
জীবাশ্ম থেকে জন্ম নেওয়া একটা প্রাণ।

রাস্তার ধারে পড়ে থাকা পাগলিটা,
মা হতে চলেছে।

Friday, October 28

লিংকন ( বাংলাদেশ )


বিস্মৃত


মানুষ মানুষকে ভুলে যায় না, 
শুধু মায়া কেটে যায়!
কেটে যায় তার আত্মার টান!

এইচ এম শাহীন


জীবন নদী 


বয়ে চলার মাঝে 
শেষ হতে পারে না
এতো কালের গড়িয়ে যাওয়া 
জীবন নদী। 

Thursday, October 27

শ্রাবনী চ্যাটার্জী


দুর্গা


আমার দুর্গা কষ্টে ভারী
সকাল থেকে সাঁঝে
তোমার দুর্গা সুখেই আছে
মন্দিরে বিরাজে।

পাবলো পিকাসোর


পাবলো পিকাসোর *গুয়ের্নিকা বা গের্নিকা
(গুয়ের্নিকা চিত্রকর্মটির জন্য আমার your story-তে দেখুন) 



 *গুয়ের্নিকাকে বলা হয় পৃথিবীর সর্বকালের সেরা যুদ্ধবিরোধী চিত্রকর্ম। ১৯৩৭ সালে স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময়ে গুয়ের্নিকা গ্রামে ঘটে যাওয়া বোমা হামলার বিভীষিকাকে চিত্রিত করেছেন এই ছবিতে। সাড়ে ৩ মিটার লম্বা ও প্রায় ৮ মিটার চওড়া এই

Wednesday, October 26

স্বপন কুন্ডু



বিদেশ-বিভূঁই
    

ওপারে মেঘ হলে বৃষ্টিরা এপারেই আসে।
এপারের জলচর 
ওপারের স্থির জলে ভাসে।

পিঙ্কি ঘোষ



           গোধূলি বেলা
              

গোধূলির শেষ বেলায় নতুনের জন্ম,
পাখিদের নীড়ে ফেরার উপন্যাস
লেখা থাকে রক্তিম আকাশের পাতায়,
রামধনু সবটুকু রঙ আজ দিগন্তকে

অনিমেষ সিংহ


আলোর মেয়ে বা মেয়েটি আলো


আলো এসে দাঁড়াল দরজায়। আমাদের বিবাহ সম্পর্কিত কোনো বাধানিষেধ ছিলো না। 
কতো আলো আসে, 
মানুষের নিবিড় বুকে বাসা বাঁধে আর মাঝেমধ্যে স্বর্গে নিয়ে যায় তাদের -

উৎপল তালধি

অথবা


একটি মেয়ে রোজ নির্দিষ্ট একটা গাছের তলায় নির্দিষ্ট একটা সময়ে দাঁড়িয়ে থাকে।আমিও ঠিক সেই সময় ঐ গাছতলা পেরোতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে মেয়েটিকে চোখে গিলি । অন্যান্য পথিক আমাকে দেখে হাসাহাসি করে, হয়ত ভাবে, শালা,

তীর্থঙ্কর সুমিত


সহজ পাঠের ঘর


অসাধারণ কিছু কথন...
নিম্নলিখিত সূচিপত্রে তা সাজানো
পাতা ওল্টালেই মুখের বিবর্তন পাল্টে যায়
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আংশিক মেরুদন্ড,,,
কখন যেন হিসেবের বর্ণমালা ছুঁয়ে

Tuesday, October 25

আভা সরকার মন্ডল


রুমাল


ভেজা ঠোঁটের স্নিগ্ধতা আর উষ্ণ হৃদয়ের ঘ্রাণে
তোমাকেই জড়াতে চেয়ে
রুমালের ঠিক মাঝখানে বুনেছি অপেক্ষার সুতো---

লিংকন


বরণ করবো আজ



বড় বেশি ভাগ্যবান আমি,
ইট পাথরের শুষ্ক প্রাণহীন রসহীন, 
গতিশীল এ পরিমন্ডলে,
সবাই যখন আপন আপনকে নিয়ে,
মায়া মমতাহীন রক্ত মাংসে গড়া
অশান্তি আর একাকীত্বের ক্ষণিক জীবনে 

শফিক হাসান

পিচ্ছিল গন্তব্য

সওয়ারি যদি না ঢালে রঙহীন তরল কণা
কীভাবে এগোবে দূরযাত্রার স্বাপ্নিক বাহন
সড়কে লাল পিচ ঢাললে নৌকার কী উপকার
সর্পিল রেলও যদি ছোবলে রটিয়ে দেয়

Monday, October 24

শেখ আব্দুল খালেক ( বাংলাদেশ )


কি আশায় বাঁধি বুক


তোমার কামনা সুপ্ত বাসনা

না বুঝে করেছি ভুল

গোপণ বিহারে নিরবে নিরবে

ছিড়েছ রঙিন ফুল।


তোমার হাসিতে ছুটেছি কেবল

করিনু মৃত্যু ভয়,

আশার আলোতে ফেলেছি স্বজন

করেছ হৃদয় ক্ষয়।


গোপণে গড়েছ অতুল প্রাসাদ

করেছ শূন্য ধন

তোমার লালসায় অকূল পাথারে

কাঁদে আজ শত মন।


তোমার কথায় ছুটেছে মানুষ

হৃদয়ে দিয়েছে ঠাঁই,

তুমি কেন আজ আঁধারের মাঝে

মুক্তির পথে নাই !


কত যে আশার কুসুম কানন

কত যে রঙিন ফুল,

কিসের অভাবে কেন যে শুকায়

কোথা আছে মহা ভুল !


অতীতের কাছে ফিরে ফিরে দেখ

কি ছিল স্বপন মনে,

সে স্বপন কেন ঝরে অবিরত

ভাব তাই ক্ষণে ক্ষণে।


যে মানুষ ভুলে অতিরের কথা

জীবনের সুখ দুখ,

সে মানুষ নিয়ে স্বপ্ন বিফল

কি আশায় বাঁধি বুক !


অতীতের স্মৃতি স্বর্ণ কোমল

হৃদয়-মিনারে হাসে,

শহীদী-আত্মা ত্যাগের মহিমা

বিজয় পতাকা ভাসে।


তোমার হস্তে আমানত রেখে

শহীদ মুক্ত দায়,

তুমি তো নিয়েছ সেই গুরু ভার

মা যেন মুক্তি পায়।


কান্তীশ মণ্ডল

ভালোবাসাসহ



রাইকিশোরী
কান্তীশ মণ্ডল
রাইকিশোরী শাপলা তোলে ,
কৃষ্ণ  বাজায়  বাঁশি,
রাই কিশোরী আড় চোখে চায় ,
লাজুক মুখে হাসি।