Saturday, August 6

এখন তোমাকে নিয়ে

নরেশ রায়

এখনো তোমাকে নিয়ে
লেখা হয় নানা কবিতা
তুমি এখনো তেমনি সবুজ
ইনকা থেকে এই শতাব্দী 
দেখে অবাক আমি ভাবছি
তোমাকে নিয়ে উড়ে যাব
অন্য কোন ভিন্ন  গ্রহে। 
চাঁদে বড় ভিড় আজকাল
চরকা নিয়ে চাঁদ বুড়ি
বেজায় নাজেহাল। 
তোমায় গোপনে আপন
করে নেব নেই কোন উপায়
অত্যাধুনিক নজরদারি 
ফাঁকি দেওয়া সহজ নয়। 
পৃথিবীর এক কোণেই তাই
বসাব বাসর। গ্লোবাল ওয়ার্মিং
বারুদে মাখানো ধর্ম  নানা
দুর্যোগের মাঝে দুর্জয়  সাহসে
ক্যাকটাসে ফোটাব ফুল
তুমি থেকো পাশে
                        না করো না
চির চঞ্চলা নীলাঞ্জনা।

মৃত শ্রাবণে

সৌরভ আহমেদ সাকিব

"মনে রবে কি না রবে আমারে।
সে আমার মনে নাই ,
মনে নাই......"

হয়তো একান্তে চোখের অগ্ন্যুৎপাতে
বিরক্ত বিকেলে সঙ্গীহীন নৌকা বিহার
যখন থেমে যায়;
স্মৃতির ফড়িং উড়তে থাকে অবচেতন আকাশে....

আমি ভুলতে পারিনি এই ধূসর মৃত্তিকার গান
ছড়িয়ে পড়েছে যা তোমার নুপূরের ঢেউ এ।
আমার বেঁচে থাকার সংকল্পের রং
তোমার গ্রীবার মত কোমল।
ভাবনার শান্ত বলয়ে তুমি আমার পালতোলা নৌকা;
মেদুর ভাবনার নক্ষত্র স্পর্শ আমার অনুরাগের
ঠোঁটে মেলে দিয়েছে নীলাভ সমুদ্দুর।

আমি বাঁচতে চেয়েছি ইউলিসিসের চোখে,
অর্ফিয়াসের বীণার অনুরণনের মত ছুঁতে চেয়েছি
শ্রাবণ্যের বুক।
নিশ্চল কবিতার লাইন মুঠো ভরে তুলি নিয়ে
উড়িয়ে দিয়েছি রাতের স্বপ্ন বিলাপে;
যদি তুমি আবার আঁকড়ে নাও আমায়
মৃত নাবিকের প্রেয়সী রূপে তোমার নিঃস্বতার বালুতটে.....

শ্রবণ্যের থেকে দূরে
※※※※※※※※

এখানে মৃত্যুকথা দীর্ঘ।
গাছেদের নীরবতা শব ব্যবচ্ছেদের টেবিলের মত
শান্ত ও শীতল।
অবিশ্বাসের ধুতরো ফল খেয়ে আত্মহত্যা করে ফেলে
পাগল প্রেমিক।
গায়ে তার মৃত টেলিগ্রাম....

আমার স্তুপীকৃত আহ্বান মেট্রোপলিটন শহরের
সুড়ঙ্গ পথে সহমর্মিতা খোঁজে।
কাল রাতে স্বপ্নে সার্ত্রের গালে সশব্দে চড় কষিয়ে,
সকালে মনে মনে ক্ষমা চেয়েছি।

আমার কৃষ্ণপক্ষের জীবন...
প্রত্ন হরফে লেখা দীর্ঘশ্বাসের গুহা আমার ফুসফুসে।
পুনর্মুদ্রিত কোনো ভালোবাসা বা আসক্তির
ক্রান্তদর্শী ছায়া ঘুম পাড়ায় না আমায়।
আমি শ্রাবণ্যকে হারিয়ে ফেলেছি.....