Wednesday, August 3

অক্ষর লিপি

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

বিহা ঘর । সিনায় আইল । আইবুড়া বিটিছিলা  । শাওনে ভাদুর গান আর পরনে কানি

বেলাউজ । ঢাইকতে লাইরছে তন ।
ফিলিম দেইখছে নুনুগুলান আর বইলছে ভাল কেনে

হলুদ পারা ট্যাসকি আর পাঘা বাঁধা সঙ । দমে গনধো মাইখে ভুঁটি বাগায়
কে টোকরি মাথায়

মার তরে কামিন আইনতে আইসেছে । বিটি বিকায় পণের টাকায় । প্যাটের 
বড়ো টান বছরকি দিনে

আঁধার পারা মেঘ । বৃষ্টির দুকানে আয়
মুক্তার পারা আশু দিব এমন সাঁঝের
বেলা আর চিরুণ কইরব চুলে...

2.
অক্ষর লিপি দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

পলক । লক । কথাও । ওরা বুঝতে পারছে না । নাম করতে করতে জমে যাচ্ছে ধ্যান

বিন্দু ঘামের । র কিছু হবার নেশায় । সায় । আশার শেষে আষাঢ় আর বীজতলা

প্রস্তুত । তবুও দ্বিধা । ধাক্কা প্রবল । বলগুলি শরীরের ভাগ্যবান খেলোয়াড়ের হাতে

প্রাণ । ণত্ব বিধান ষত্ব বিধানে নেই । ইতি টানবার আগে চিঠি দেখে অনেক না বলা

অবলা মর্জিনা ছেলে হয়ে ওঠে আব্বু আমিনার ঘরে
৩.
অক্ষর লিপি দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

রাস্তা । তাকে ভিড় দিল । দিলদার দিল না । নাকউঁচু লোকজন নাক সিঁটকে বলে উঠলো গাঁইয়া অসামাজিক

ম্যাজিক ছিল না কথায় । ঠাঁই পেতে বসে । সে কুড়িয়ে নিচ্ছিল যা তার অত্যন্ত নয়  পলিপ্যাক আর কাগজ

গজগামিনী । নীতা নামে মেয়েটি । টি বোর্ডে কাজের পর কোথায় চলে যায়
বিনয় বাদল দীনেশ জানে না

নামছে অন্ধকার । কার পাখি কবে খাঁচা  ভুলে । লেখার খাতায় তার 
পালক রেখে চলে গেছে তারায়

রায় ঘোষণা হওয়ার আগেই সে দেখলো আসলে কেউই  অপরাধী নয়

মনুসংহিতার হত্যাদৃশ্য


দেবজ্যোতিকাজল

গল্পটার কাহিনী যাই হোক না | গল্পটার সারাংশ যাই থাক না | গল্পকারের ফাঁদ মস্তিষ্কের তারিফ না করে পারছি না | গল্পের প্রধান চরিত্র ছিল নর্তকী |

ধাক্কার উপর ধাক্কা | এক হ্যাঁচকাটানে গাছের ফুল সহ ফল দরদর করে পরছিল | প্রতিশোধ | হ্যাঁ প্রতিশোধ নিচ্ছে নারী কলঙ্কের বিজ্ঞাপন দিয়ে | মেয়েটি ভৃত্য | চোখ মুখ অর্ধ মৃত পাখি | ডানাগুলো স্নায়ুহীন নিস্তেজ পালক |

মহামান্য ধর্ষকাপাধ্যায় | নারীর শরীরের গন্ধে পুলিশ কুকুর | আঃ ! কি আত্মতৃপ্ত | ধর্ষকাপাধ্যায় তৃপ্তি রসনায় ঢেকুর তুললেন | নর্তকী অবলীলায় বললেন , ছিঃ ছিঃ তুমি !

ধর্ষকাপাধ্যায় বললেন , হ্যাঁ আমি | নারীর আবার সতীত্ব | এই নে পুরস্কার |

ততক্ষণে নর্তকী মাটিতে বিশ্বাসঘাতকতার যন্ত্রণায় কটকট করছিলেন | রক্ত আর রক্ত | এতক্ষণ যে রক্ত চুক্ষুটা শরীরর শাসন করছিল | তার সতীত্বের রক্তে সিক্ত শয্যা উপভোগ প্রসাধনি | তার পাওনা মেটানো হলো বুকে চাকু মেরে | এক-একটি শ্রী উপপ্যাধায় | ভীষণ মজার পুরস্কার | ময়ূর পালঙ্কে চোখবদ্ধ শারাসি মনুসংহিতা | কী রকম-ফের অভিশাপ নারী জীবনে | অভিশাপ কুড়ায় | নদীর মত নারী | দশভূজার মত নারী | কালীর মত নারী ! মায়ের মত নারী ! বলুন তো ,এসব প্রতীকি শান্তনা ছাড়া আর কী ? মনু যতটা সন্মান দিয়েছেন , তারচে ঢের অবহেলা দিয়েছে সপার্টে থাপ্পরে |

আগমনীর বহু দিন আগে

অভিষেক ঘোষ

ওনার মুখশ্রী পাল্টে গেছে এবার। পায়ের নীচে রক্তের নদীতে ভেসে উঠেছে লাল
পাহাড়ে পাহাড় ঘর্ষণ করে... ধর্ষণ করে... অঙ্কুরিত হাঁটুর গন্ধ। বিছানার অনুপ্রেরনা,
তাকে শেখাননি স্নেহের প্রতিফলন , জীবাণু হীনতা, সাম্প্রতিক, মাতাল হয়ে ঘুরে বেড়ানটাই
তার কাছে এখন অভিধানের চেয়েও গুরুত্ব ময় সেটিই, যাকে দেবতারা বলে পেরো না,
করোই না ক্ষমা পাতাদেরও, যদি তারা ধ্বনি সরিয়ে নিয়ে যায় তোমার মুখের বারান্দা থেকে,
করোই না ক্ষমা সেই হাতের স্পর্শকে, যার সমদ্রে তোমার নামই নেই...ক্লান্ত আকুতিভয়।
যদি কিছু নাও হয়, কোন নতুন জামা, নতুন জুতো, নতুন তৈরি করা আক্রান্ত ক্ষমাকে,
বলে দিয়ো তার ঠোঁটের হাঁসি, অমাবস্যা রাতে, ছায়ার নীচে, ঠিক কেমন দেখতে হয়।

গডফাদার

রাশেদ

বুকপকেট নেই
একটা বুকপকেটের সুতীব্র তীক্ষ্ণ আকাঙ্খা
লোভের লালা ঝড়ায়,
বুকপকেটে নাকি জাদুর কাঠি থাকে !

হিপ পকেটের ন্যানো কোল্ট হ্যমারটা
যন্ত্রদানব, শক্তিশালী
কিন্তু বড্ড রিস্কি
ঘাম ছুটিয়ে স্যলাইন খাওয়ায়।
দমকা হাওয়ায় ভ্যানিশও করে।

বুকপকেটওয়ালা বলেছে
কোল্ট হ্যামার থেকে আর একটা বুলেটের দৌড়
তারপরেই কাঙ্ক্ষিত বুকপকেট।
সর্পিল সাপের খোলস পাল্টানো।

পরাধীন টি-শার্ট,
শুকনো ঘামের সাদা নোনা দাগে
স্বাধীন মানচিএ হতেচায়,
হয়েও যায়।
বস্তির নিপড়িত লোভী চোখে
বুকপকেটের বখেযাওয়া জাদুর কাঠি
থলের কালো বিড়ালের স্বপ্ন আঁকে......