ভালোবাসার সঞ্জীবনী
হটাৎ দুর্যোগে সেদিন ,অনির্দিষ্ট লেট ট্রেন !
ক্লান্ত অবসন্ন দেহ ,আর বিষণ্ণ মনে,
ভিড় হতে দূরে,অপেক্ষা প্লাটফর্মে ,
একাকী নির্জনে ---------
ছিল দৈনন্দিন একঘেয়েমির এক অব্যক্ত দংশন !!
বাঁচার জন্য বেঁচে থাকা,
আনচান হৃদয়ে কেবলই যত বেসুরো গান -
আবেগ সৃজন যা কিছু সবই ,
করেছিল খান খান ।।
অন্ধকারে বন্ধ চোখের পাতায়,
তখনও ঘোর অন্ধকার !
হটাৎ ই অতীতের ফেলে আসা স্মৃতির রোমন্থন,
তখন পরিচয় সবে বছর দুই তিন-
আবিষ্টতায় আচ্ছন্ন মন ,
সম্মোহনী চোখে না বলা ইশারায় প্রতিক্ষণে-
হায় পাগলসম আমি !!
থেকেছি ব্যাকুল প্রিয়া, তব দর্শনে -
নাই ক্লান্তি, নাই অবসাদ কোনো !
স্পর্শের কাঙাল ছিলাম ,
শয়নে স্বপনে উতলা শুধুই তব স্পর্শের লাগি !!
বিকেলের আকাশে জমে থাকা একচিলতে মেঘে,
কম্পিত অধরে শাওন পিয়াসী আহ্বান করেছিল,
তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো উদভ্রান্ত !
যেন স্বর্গের সুষমায় মোহাচ্ছন্ন দুই প্রাণ ।।
প্রেমের সেই গান যেন ফের -
সুরে সুরে সঞ্জীবনী হয়ে শোনাল হায় ,
ভালোবাসার এক গল্প চিরন্তন !
থমকে দাঁড়ানো পড়ন্ত বিকেলে-
পরিশ্রান্ত ভগ্ন হৃদয়ের কোণে উঠল বেজে,
আবারও বেঁচে থাকার আমন্ত্রণ ।।