নিষিদ্ধ প্রেম
সন্দীপন দিবাকরের অনেকদিনের পুরোণো বন্ধু। সন্দীপের বয়স তিরিশ্ দিবাকর আঠাশ আর চঞ্চলা মানে সন্দীপের বৌ সবে আঠারোতে পা । সন্দীপ চাকরী সুত্রে বাইরে থাকে । চঞ্চলার একাকীত্ব কাটাবার জন্য ভর্তি হ’য়েছিল একটা ওপেন ইউনিভারসিটির ফার্স্ট ইয়ারে । দিবাকর ইংলিসে এম. এ. ফার্স্টক্লাস । না দিবাকর চাকরী পায়নি এখনো বেকার । প্রাইভেট পড়ায়। তাই ওকেই চঞ্চলাকে পড়াবার দায়িত্ব দিয়েছিল সন্দীপন । যদিও বাধাধরা টিউশান নয় ওই পড়াশোনা ও দেখভাল করা ।
সেদিন ছিল প্রথম দিন। দিবাকরকে অবাক চোখে দেখছিল চঞ্চলা । হাতধরে টেনে বসিয়েছিল খাটে । ঐ সামান্য স্পর্শেই দিবাকরের তন্ত্রীতে২ কিসের যেন ঝংকার বেজে উঠেছিল । চঞ্চলা বলেছিল
আজ বুঝি সময় হ’ল ! কিন্তু এভাবে এলে মাইনে কাটা যাবে তা বলে রাখলুম ।
বসুন ,চা নিয়ে আসি ।
আবার চা কেন , এই বইগুলো রাখো ;পরে নোট ক’রে দেব, পোড়ো ।
রাখুন , কিন্তু চা নয় কেন , আচ্ছা বাবা মাইনে কাটব না। চা খেতে খেতেই বাইরে তাকিয়ে দেখল আকাশে মেঘের ঘনঘটা ।
ঐ যা আবার বৃষ্টি আসবে , আমি উঠি ।
বৃষ্টিতে ভিজতে আপনার ভাল লাগেনা (?) আমার কিন্তু দারুণ লাগে ।
বৃষ্টিতে ভিজলে সর্দ্দি কাশি জ্বর হয় ।
আমার রোমান্স আসে ।
ওসব তোমাদের হয় আমি বাস্তব বাদী ।
বাস্তব বাদীরা বুঝি রোমান্টিক হয়না ?
এসব কথা আমার ভাল লাগেনা চঞ্চলা ।
বলুন আমার মুখে ভাল লাগছে না । সুনন্দা বললে …..সুনন্দাতো আমার চেয়ে সুন্দরী না ! সন্দীপ আমায় সব বলেছে । আচ্ছা সুনন্দাকে আপনি খুউব ভালবাসেন ? না ?
প্রে ম ভালবাসা কি ক’রে হয় তাই আমি বুঝিনা । এসব কি ক’রে হয় বলোতো
বড় জটিল প্রশ্ন করলেন মশাই । কার সাথে কখন কিভাবে প্রেম হ’য়ে যায় কেউ বলতে পারেনা । তবে এটা হয় ।
তুমি উত্তর খোঁজো আমি চললাম—বলে বেড়িয়ে এসেছিল দিবাকর ।
ব্যাপারটা ঘটেছিল তার কয়েক দিন পর । দিবাকর গিয়ে দেখল চঞ্চলার জ্বর । ওকে দেখে উঠে বসতে গেল চঞ্চলা । দিবাকর বাধা দিয়ে বলল
থাক্২ উঠতে হবেনা । এখন কেমন ?
আমি আর পারছিনা । খুউব দুর্ব্বল । কালরাত থেকে অনেক বার টয়লেট হ’য়েছে, দুবার ভমিটিং ।
কি খেয়েছিলে কাল ?
তেমন কিছুনা নর্মাল ডায়েটই করেছিলাম শুধু বিকেল বেলা একটা সিঙ্গারা সস্ দিয়ে ।
অন্য কিছু নয়তো ?
মানে !
ঐ যে বলছিলে না দুবার বমি/টমির কথা !
তো !
না মানে মেয়েদেরতো একটা বিশেষ সময়ে বমি টমি হয় আর কি ।
তা বিশেষ সময়টা কি ক’রে আসবে শুনি । সন্দীপ আজ ছমাস হ’তে চলল বাইরে । তা তোমার নয়তো !
লজ্জায় কুকড়ে গিয়েছিল দিবাকর । ‘ওষুধ আনতে যাচ্ছি’ ব’লে একছুটে বেড়িয়ে গিয়েছিল ।
বাইরে বেড়িয়ে সন্দীপের অফিসে ফোন করে ওষুধপত্র নিয়ে আবার এলো ।
এই নাও ওষুধগুলো রাখ । সব লেখা আছে সেইভাবে খাবে । আর সন্দীপকে খবর দিয়ে এসেছি ও দু-একদিনের মধ্যে আসবে ।
সন্দীপকে আবার খবর দিতে গেলে কেন ।
ও না এলে কে তোমায় দেখবে ?
কেন তুমি থাকবে ।
তুমি বাচ্চা হ’লেও তুমি এখন বাচ্চা নও চঞ্চলা ।
দিবাকরকে হতচকিত করে দিয়ে হঠাৎই এক কান্ড ক’রে বসল চঞ্চলা ।
না আমি কিচ্ছু বুঝিনা । দিবাকর কাছে এসো । এইখানে আমার কাছে বোসো । আমায় ছেড়ে যেওনা প্লীজ্ । তোমাকে আমার খুউব দরকার । তোমাকে আমার পাশে চাই ।
দিবাকরের যে কি হ’ল ঐ রোগক্লিষ্ট সুন্দর প্রতিমারমতো মুখের দিকে তাকিয়ে আর থাকতে পারলনা । আস্তে২ বসল চঞ্চলার মাথার কাছে ।মাথাটা কোলের উপড় তুলে নিয়ে জ্বরতপ্ত কপালে আস্তে২ হাত বুলিয়ে দিতে লাগল । পরম আদরে ও আরামে চোখবুজল চঞ্চলা । কিছুক্ষণ ঐ ভাবে থেকে ঘুমটা গভীর মনে হ’লে ওর গায়ে একটা চাদর ঢাকা দিয়ে বেড়িয়ে এসেছিল ।
পরদিন সকালে দিবাকর গিয়ে দেখল সন্দীপন এসেগেছে। চঞ্চলাও সুস্থ হ’য়ে উঠল । দুদিন থেকে চলে গেল সন্দীপন । আবার একা হ’য়ে পড়ল চঞ্চলা ।
এর মধ্যে বিশেষ জরুরী ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যেতে হ’য়েছিল । চঞ্চলাকে কিছু না বলেই বেরিয়ে গিয়েছিল ।
দিন সাতেক পর বাড়ী ফিরল। চঞ্চলাকে একবার দেখার ইচ্ছাও ছিল সেটা বলা বাহুল্য ।
অবশেষে আজ সন্ধ্যায় এসে হাজির হল । চঞ্চলা কোথাও বেরোবার জন্য তৈরী হ’চ্ছিল । দিবাকর ঢুকতেই ওর মুখের উপড় তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে ঝাঁঝিয়ে উঠল চঞ্চলা ।
আচ্ছা তোমার কি কোনো আক্কেল জ্ঞান বলতে কিচ্ছু নেই ! How dare are you নিজেকে কি মনে করো তুমি !
না, এই ভঙ্গিমায় চঞ্চলাকে আগে কখনো দেখেনি দিবাকর । আর কি সেজেছে আজ ! নিখুঁত ভাবে এয়ার হোস্টেস রঙের শাড়ী পড়েছে অথচ দিবাকর জানত ও শাড়ী পড়তে জানেনা আর ওই এয়ার হোস্টেস রঙটার কথ চঞ্চলার কাছেই জেনে ও চিনেছিল অনভিজ্ঞ দিবাকর । শাড়ীর সাথে ম্যাচিং করা ব্লাউজ্ , প্রসাধন যেভাবে মানায় ঠিক ততটুকুই । বব্ করা চুল ঘাড়ের উপড় এমন ভাবে সাজানো মনেহয় কোন শিল্পীর হাতে আঁকা । ঘরের চারিদিকে একবার চোখ বোলালো দিবাকর । অবাক হ’য়ে দেখল আজ চঞ্চলার বেড্ কভার নীলাভ ,জানালার পর্দা , টেবিল ক্লথ ,আলমারীকভার , টিভি কভার সব নীলাভ । মনেহয় সব মিলিয়েই যেন একটা সেট্ । এর আগেও দিবাকর লক্ষ্য করেছে যেদিন যেরঙের বেড্ কভার থেকেছে সেই রঙেরই সব থেকেছে । বুঝেছে চঞ্চলা ম্যাচিং চায় । পরিপাটি ক’রে সব সাজাতে চায় ।
মুখে সলজ্জ হাসি নিয়ে মুখ খুলল দিবাকর – কোথাও বেরোচ্ছ বুঝি , আমি তবে যাই এখন
বেরোচ্ছিলামইতো !
কোথায় ?
জাহান্নামে ।
ওটাতো আমার ঠিকানা, ওখানে তুমি কি করতে যাবে ?
তুমি এসে গেছ তাই আর যাবনা । তুমি ভেতরে এসে বোসো আমি চেঞ্জ ক’রে আসছি ।
বাথরুম থেকে বেড়িয়ে এল চঞ্চলা । শাড়ীছেড়ে হালকা গোলাপী রঙের পাতলা ফিনফিনে নাইটি পড়ে । নাইটির ভেতর থেকে উথলে পড়ছে সুস্পষ্ট যৌবন । অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকালো দিবাকরের দিকে । চোখ ফেরাতে পারছেনা দিবাকরও । চঞ্চলার গাল দুটো যেন একটা আপেলকে দুভাগ ক’রে বসানো হ’য়েছে । সারা মুখে ইতস্তত জলের ছিটে লেগে মনেহচ্ছে যেন সদ্য প্রস্ফুটিত শিশির সিক্ত গোলাপ পাপড়ি মেলতে চাইছে দুটি পাতলা ভেলভেটের তৈরী ঠোঁটের মাধ্যমে । কপালের পাশে সরু এক চুলের গোছা সিলিং ফ্যানের হাওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছেনা ।
চঞ্চলা ঘরে এসে টিউবলাইট অফ্ ক’রে একটা নীল নাইট ল্যাম্প জ্বালিয়ে দিল । ফ্রীজ থেকে বের করল কিছু স্ন্যাক্স , কিছু ফল , তার সাথে একটা বিদেশি মদের বোতল ও সুন্দর দুটি কাচের গ্লাস । অবাক চোখে দেখে যাচ্ছিল দিবাকর । সবকিছু নিয়ে টেবিলে সাজিয়ে নিয়ে বসল দিবাকরের মুখোমুখি । দুটি গ্লাসে মদ ঢালল সঙ্গে পরিমান মত জল । দিবাকরকে কিছু বলার সুযোগ নাদিয়ে একটি গ্লাস বাড়িয়ে দিল অন্যটি নিজে তুলল । মন্ত্রমুগ্ধের মত গ্লাস হাতে নিল দিবাকর ‘ চিয়ার্স ‘ ক’রে দুজনেই এক চুমুক ক’রে নিয়ে গ্লাস নামিয়ে রেখে পরস্পরের দিকে তাকালো । এতক্ষনে মুখ খুলল চঞ্চলাই – তুমি এতদিন আসোনি কেন (?) এক’টা দিন আমার কিভাবে কেটেছে তুমি জানো ! আমি খেতে পারছিনা শুতে পারছিনা । জেগে থাকলে মনে তুমি ঘুমালে স্বপ্নে তুমি ।
এ তুমি কি বলছ চঞ্চলা !
কেন সুনন্দাকি আমার চেয়েও সুন্দরী ?
জানি না । তবে আজ মনে হচ্ছে তুমি আর তুমিতে নেই ।
সত্যি ক’রে বলোতো তুমি কি আমাকে একটুও ভালবাসো না !
তুমি কি পাগল হ’য়ে গেছ ! তাহলে আমি এক্ষুনি চলে যাব ।
বলেই উঠে দাাঁড়ালো দিবাকর ।
না এখনো হইনি , তবে তুমি যদি চলে যাওয়ার নাম করো তাহলে হয়তো হ’য়ে যাব ।
হতভম্ব হ’য়ে যায় দিবাকর ।
শোনো সন্দীপ আমার শারীরিক মানসিক কোন চাহিদাই পূরণ করতে পারেনা । তাই তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবনা দিবা ।
বুকে ঝড় উঠে যায় দিবাকরের । মাথায় খেলে যায় চঞ্চলা সন্দীপের বয়সের ফারাকের কথা । সবকিছুতে ম্যাচিং চায় চঞ্চলা । অথচ সন্দীপের সাথেই অল্প বয়সী যৌবনার ক্ষণিকের ভুলেই হ’য়ে গেছে অসাঞ্জস্য ।
এরমধ্যে কখন গ্লাস খালি হ’য়ে গেছে । আবার মদ ঢালা হ’ল । ঠোটে ঠেকিয়ে মুখ খুলল দিবাকর
আচ্ছা চঞ্চলা অন্যের বৌকে ভালবাসা কি পাপ নয় ?
না ।
কেন ?
তুমি ভগবান মানো ?
ওটাকি আমার প্রশ্নের উত্তর হ’ল !
অধৈর্য্য হ’য়োনা , বলোই না ?
যদি বলি হ্যাঁ ।
শ্রীকৃষ্ণ কি ছিল ?
মানুষ রুপে ভগবান ।
ঠিক বলেছ । তিনি কার সঙ্গে প্রেম ক’রে ছিলেন ?
কেনো রাধার সাথে ।
রাধা কে ছিল ?
আয়ান ঘোষের বৌ ।
তাহলেই বোঝ ভগবান কি কখনো পাপ করে !
অবাক হ’য়ে যায় দিবাকর । চঞ্চলা তার কথার রেশ ধরে বলে – ভগবানের বেলায় যদি পাপ না হয় মানুষের কেন হবে ।
কিন্তু ভগবানেরতো সমাজ নেই মানষেরতো সমাজ আছে । সমাজ কি বলবে ! সমাজতো রাধাকেও কলঙ্কিনী বলতে ছাড়ে নি চঞ্চলা !
দেখ অন্তরের ভালবাসাটা ভগবানের সৃষ্টি । বলোনা তোমার সমাজ বা বিজ্ঞান কি এখনো রক্ত মাংস অস্থি মজ্জা প্রেম ঘৃণা দিয়ে একটা মানুষ তৈরী করতে পেরেছে ! পারেনি । আর সমাজ গড়েছে মানুষ । তাই ভালবাসার উপড় সমাজ তার আধিপত্য দেখাতেই পারেনা । ভালবাসা কখনোই পাপ নয়গো ।
কিন্তু প্রতিদিনের বাস্তব জীবনে বেঁচে থাকতে সমাজকে কি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা যায় !
চঞ্চলা নিরুত্তর । আস্তে২ উঠে গিয়ে দাঁড়াল জানালার ধারে । জানালার গ্রীলধরে ঘুরে তাকালো দিবাকরেক দিকে নিশ্চল ছবির মত । চঞ্চলার গোলাপী মুখে নীল আলোর আভায় স্বপ্নিল শোভা । ঐ মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ সরাতে পারল না দিবাকর । আস্তে এগিয়ে ঐ মুখের কাছে মুখ এনে তাকিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল । অস্ফুট স্বরে চঞ্চলা বলল – কিদেখছ অমন ক’রে
তোমাকে ।
আমি কি ?
আমি কবি নই , উপমা টানতে পারছি না , একে কি বলব সদ্য প্রসফুটিত শিশির সিক্ত গোলাপ নাকি শরৎ এর পূর্ণইন্দু !
এক মায়াময় হাসির ঝিলিক হাসি ফুটে উঠল মদিরাচ্ছন্ন চঞ্চলার ঠোটের ফাঁকে ।ঐ হাসি অজস্র বীণার তারের ঝংকার তুলল দিবাকরের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে । অমোঘ আকর্ষণে দুহাতে তুলে ধরল ঐ গোলাপ, তৃষিত ঠোঁট দুটো নামিয়ে আনল চঞ্চলার গোলাপী ঠোঁটের উপর । পেছনে পড়ে রইল বন্ধু সমাজ সংস্কার আরো কত কি ।
ঠিক সেই মুহুর্তেই বাজল কলিং বেল
। “ চঞ্চলা দরজা খোলো আমি সন্দীপ “ ।
ছিটকে ঘুরে দাঁড়ালো দিবাকর । ততক্ষণে ভেতরের দিবাকরটা একটা একটু আগের দিবাকরকে একটা কাঁটায় ভরা চাবুক দিয়ে চাবকাতে শুরু করেছে । কোনোরকমে দরজা খুলল দিবকরই । সন্দীপ ঘরে ঢুকে সবদেখে বলল – তোরা মদ খেয়েছিস ; ভালই হ’লো চঞ্চলা আমাকেও একটা গ্লাস দাও ।
চোখ তুলে তাকাতে পারছিলনা দিবকর । বলল – তুই এসে গেছিস , ভালই হ’য়েছে । এবার তোরা বস রিলাক্স কর । আমি আসি ।
সেকিরে আমার সাথে বসবি না !
সেকথার কোনো উত্তর নাদিয়ে একছুটে বাইরে বেড়িয়ে গেটের কাছে পৌছল । এমন সময় চঞ্চলা ‘ একটু দাঁড়ান ‘ বলে ছুটতে ছুটতে চলে এলো গেটের কাছে ।
দুচোখে জল টলটল করছে । উদ্গত কান্নাকে দমিয়ে রেখে কোনরকমে বলল
শোনো , তোমার জীবনটা এভাবে আমার সাথে নষ্ট কোরোনা । ভুলে হ’ক মনের অজান্তে হ’ক , সামান্য থেকে সামান্য হ’ক যদি আমাকে ভালবেসে থাক তাহলে আর কোনদিন আমার কাছে এসোনা ।
বলেই দিবাকরকে কিছু বলার সুযোগ নাদিয়েই একছুটে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করল ।
দিবাকর কিছুক্ষণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হ’য়ে স্থানুবৎ দাঁড়িয়ে থেকে আস্তে২ পা টেনে২ বাইরে বেড়িয়ে এল ।
No comments:
Post a Comment
লেখা পড়ুন এবং মতামত জানান ।