Showing posts with label কৌশিক দে সরকার. Show all posts
Showing posts with label কৌশিক দে সরকার. Show all posts

Sunday, October 16

কৌশিক দে সরকার

অনুরোধ 


নাইবা  আমায় ভাবলে কাজের মাঝে
একটু শুধু পড়তে দিও ছায়া ;
তোমার সুখের ভাবনা গুলির পাশে
একটু শুধু জড়িয়ে রেখ মায়া।
মায়ার আবেশ জড়িয়ে জানাই শুধু
একটু শুধু স্মৃতির পাতা দেখো;
পৃষ্ঠা জুড়ে শব্দ রাজির মাঝে
একটু শুধু যত্নে সাজিয়ে রেখো।
নাহয় আমি ফাগুন রঙের মাঝে
একটু শুধু আবছা রঙের দাগ;
দরবেশ আর কানারা রাগের মাঝে 
একটু হালকা মিষ্টি ইমন রাগ।


কবির মৃত্যু 


কবির মৃত্যু হয়না কভু জেনো,
মরছে যত কবি সাজার দল;
পাঠক নিজেই কবিতা লেখে আজ
বাঁচবে কবি কি-নিয়ে তবে বল! 
সম্পাদনায় উড়ল কত বয়স
কবিতা নিয়ে কত রকম খেলা ;
চিতার কাঠ জ্বলছে নাতো ভালো
সাধের কাগজ খাটের নীচে ফেলা।
শব্দগুলো জ্বালিয়ে ছিল আগুন
শাসক শ্রেণি পুড়িয়ে দিল সব
ধীরে ধীরে পুড়ছে কবির মেধা
ভাঙ্গতে প্রথা উঠিয়ে ছিল রব।
উঠতি কবি  সঙ্গে ছিল যত
ভাবলো বসে করবে স্মরণিকা ;
হাতের গয়না খুলল সাদাশাড়ি
হবেই সম্পাদক বা প্রকাশিকা। 
গড়তে চেয়ে নতুন ধারার লবি
দেওয়ালে এখন তিনি নিজেই ছবি
রক্ত যখন ছুটছে শিরার পথে
মন্ত্রগুপ্ত বানিয়েছিল কবি।
সবাই যখন ছুটতো স্মারক নিতে
মঞ্চে উঠে নিতো শংসাপত্র 
বলতো কলম ঝড়িয়ে আগুন শব্দ
সাহিত্য আজ হয়েছে জলছত্র। 
গতানুগতিক কবিতাগুলো ফেলে 
লিখবে এসো নতুন লেখা কিছু
ওয়ার্কশপে কবিতা শেখান যদি
সোনামণিরা ঘুরত পিছু পিছু।
আজকালতো পাঠক মোটেই নেই 
যারা পাঠক তারাও লেখে কিছু
আসল কবি নকল কবির মাঝে
মঞ্চ থেকে দেখতে লাগে নীচু।
জ্বলবে চিতা এমন শত শত
মরবে কবি সম্পাদকের দল
এসব বুঝেও সুধায় কবি হেসে
কবিতাটা কেমন হল - বল। 


ছবির খাতা


তোমার কাছে দিলেম খাতা,  সাদা পাতার গোছ
দৃষ্টি  দিনে  লজ্জা মাখা জোড়া পানের খোঁজ।
একলা ঘরে প্রতীক্ষা স্নান মেঘের পাতায় জল
ভয় ছিল লজ্জা ছিল  যখন ছিল ছল।
গোল্লা ছুটের  ফ্রক ছিল প্রজাপতির পাখা
ক্লান্ত হয়ে পা ছড়িয়ে ঘাসের আদোর মাখা।
তোমার কাছে দিলেম খাতা গালের টোল এঁকো
সব্জি বাজার সুখের আলনা গুছিয়ে রাখা শেখো।
বৃষ্টি দিনে শাড়ির আঁচোল কোমড়ে গুঁজে রাখা
সৃষ্টি সুখে আগলে রাখা মা ষষ্টীর পাখা।
তোমার কাছে দিলেম খাতা মাঝে ময়ূর পালক
মেঘের পাশে দিচ্ছে উঁকি  সুখের মতো আলোক।
ছড়িয়ে সবুজ হলুদ সাদা  আঁকতে দিলেম ছবি
আকাশ এঁকে বলছো তুমি আমার মতো হোবি?


ভ্রম


এক ঝুড়ি তারা চেয়ে
পেলেম শুধু লজ্জা;
আসলো ধেয়ে হাজার ঢেউ
শীতল হলো মজ্জা।
ঝিনুক খুঁজি তারার আলোয়
সোনার বালি হাতে;
সাগর ঢেউয়ের দুধের ফেনা
ভেজায় আমায় রাতে।
অমৃত আজ বাতাস যেন 
নিজের থেকে এসে;
অমর করে সাজিয়ে দিল
দেবতাদের বেশে।
নিভলো বাতি জ্বলল আগুন
পুড়লো সারা শ্রম;
শীতল প্রলেপ রাত্রি নীল
গাঁথল মালা ভ্রম।
ক্লান্ত নয়ন শূণ্য আকাশ
ভোরের পাখির হাসি;
দিনলিপিতে তৈরী ছিল
প্রত্যায়ণের বাঁশি।।