বিজলী ভয়াল মর্তে
মেঘে গর্জন করে তর্জন
বিজলী ভয়াল মর্তে,
নির্মম অতীব ভণ্ড বিভবে
ঘৃণ্য মেকী শর্তে।
যত আছে সব তস্কর সাধু
লিপ্ত ভয়াল কর্মে,
ওরা হিংসুক মঙ্গলনাশী
দেহ ঢাকা সব চর্মে।
ওরা দাম্ভিক ওরা নির্মম
নিষ্ঠুর ধরাতলে,
হৃদয়ে গহীনে সুপ্ত অনল
লেলিহান শিখা জ্বলে।
ওরা দুস্তর রক্ত পিপাসু
মানবের দুশমন,
নিধন যজ্ঞে মেতে ওঠে ওরা
হানা দেয় ক্ষণে ক্ষণ।
শান্ত ধরায় আসুর আত্মা
লালসায় উন্মাদ,
অভাগা জাতি পায় না মুক্তি
আঁধারে ভবিষ্যৎ।
লাসের গন্ধে ধরণী নিথর
ধ্বংসে রাক্ষস-পতি,
অন্ধ বিবেক হননে মত্ত
নাই তো মানব প্রীতি।
লালসার ফাঁদে মানবতা কাঁদে
সত্যের আলো ক্ষীণ,
সৃষ্টির সেরা বিশ্বমানব
তব কি ধরায় হীণ!
বন্দি জগৎ অসৎ শর্তে
মেলে না মুক্তি-পথ,
আলোর ভুবনে অন্ধ জগৎ
আঁধারে ভবিষ্যৎ।
জ্ঞানের রাজ্যে শোষকের থাবা
নির্মম অসহায়,
কন্ঠ রুদ্ধ সূর্য আঁধারে
বিনাশের শোভা পায়।
শুনরে যোয়ান চিৎকার ধ্বনি
নিত্য বাতাসে ভাসে,
মৃত্যু শঙ্কা হৃদয়ে গভীরে
কেঁদে মরে সব ত্রাসে।
প্রলয় মত্তে অসুর আত্মা
মানে না ধর্ম-বাণী,
রুখ দাও যতো আসুর আত্মা
বাঁচাও বিশ্বখানি।