Wednesday, October 19

নিখিল বিশ্বাস

তুমি এলে সব হবে


তুমি এলে সব হবে, 
তার আগে কিসসু হবেনা।

গনগনে দুপুর, 
তুমি এলে তুমুল বৃষ্টি হবে 
এলোমেলো হওয়া, পাতার কাঁপন, 
তুমি ভিজবে, আমি ভিজবো, আমাদের মাঠ ঘাট ভিজে উর্বর হবে, 
লাঙ্গল চালাবো, 
আগাছা উপড়ে ফেলে পুঁতে দেবো বীজ।

অন্নপূর্ণা দাস


কে তুমি যোগী ?     


                                                                                                                                      না বলা কথা, অন্তরের ব্যাথা শুনতে পাও                              যার দ্বারে ঘুরি আমি বারেবারে শান্তির খোঁজে                                                                                               রাধা,অহল্যা, আম্রপালি, মীরা,নিবেদিতা আজও পথ চলছে সত্যের সন্ধানে....                                                    কে তুমি যোগী? 

সৌমেন


ভুলে যাই বলে 



ভুলে যাই বলে ভালো আছি আমি,
ভুলে যাই বলে ভালো আছ তুমি।
ভুলে যাই কত দুঃখ বেদনা,
ভুলে যাই যত ক্ষুব্ধ চেতনা।

দোলা ভট্টাচার্য্য


ভুত শিকারী আমি

ভুত শিকারী! তা লোকে আমায় বলে বটে। ওহো। তোমরা আবার "মেজকর্তা" র সাথে গুলিয়ে ফেলো না আমাকে। হ্যাঁ হ্যাঁ। "ভুত শিকারী মেজকর্তা" নামে সবাই তাঁকে চেনে। বিখ্যাত সাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্র মহাশয় তাঁর সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন। তারপর থেকেই "মেজকর্তা" আমার বড় প্রিয়। আমার ভুত শিকারের বাতিকটা বলতে পারো তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া। শ্মশানে, পোড়োবাড়িতে, হাসপাতালের মর্গে, কোথায় না কোথায় খুঁজে বেড়িয়েছি তেনাদের । কখনো  দেখা পেয়েছি, কখনো বা কিছু টেরই পাইনি। মেজকর্তার মতো আমারও একটা খেরোর খাতা আছে। তাতে আমি ভুত শিকারের নানা কাহিনী লিপিবদ্ধ করে রাখি। সেইসব অভিজ্ঞতার কথা কিছু কিছু ছাপাও হয়েছে বটে। এবারেও একটা ভুতের গল্প লেখার বরাত পেয়েছি, সন্ধ্যাতারা পত্রিকার পুজো সংখ্যায়। সময় আর বেশি নেই। এদিকে বাড়িতে বিয়ে লেগেছে। ভাইঝির বিয়ে। সারাদিন এ আসছে, ও যাচ্ছে। ক্যাঁচোর ম্যাচোর লেগেই আছে। একটু নিরিবিলি তে বসে লিখব, তার উপায় নেই। আমার ঘরটাই হয়েছে সবার আড্ডাখানা। বন্ধু মৃগাঙ্ক অবশেষে সমস্যার সমাধান করে দিল। "আমাদের গ্রামের বাড়ি রায় ভিলায় চলে যা। বিশাল ফাঁকা বাড়ি, বাগান, পুকুর, মাঠ, বিশুদ্ধ হাওয়া, পুকুরের টাটকা মাছ, হৃষ্টপুষ্ট মুরগি কোনটারই অভাব হবে না।  ননী ঠাকুমার হাতের রান্না, পাত চেটে খাবি, আর মনের সুখে লিখবি। চলে যা।" প্রস্তাব টা মনে ধরল। পরদিনই তল্পিতল্পা গুটিয়ে বেরিয়ে পড়লাম রায় ভিলার উদ্দেশ্যে ।শান্তিপুর স্টেশন থেকে বাসে করে সোনাইদিঘী। সেখান থেকে হেঁটে আরও কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিতে হল। সোনাইদিঘী বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল রায় ভিলার কেয়ারটেকার ঘনশ্যাম বসু ওরফে শ্যাম কাকা। গতকালই ফোন করে আমার আসার কথা ওনাকে জানিয়েছে মৃগাঙ্ক।