Sunday, December 4

এঁরা সমাজের কারা

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস

আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস । প্রথমেই আমার সহযোদ্ধা প্রতিবন্ধী ভাই ও বোনেদের বয়স অনুযায়ী শ্রদ্ধা জানায় ।
“ জীবনের শারীরীক অক্ষমতা একটা খারাপ মনের মধ্যে বসবাস করে । সমাজের মর্য্যদার মধ্যে বসবাস করে । সামাজিকতার মধ্যে বসবাস করে । এমন কি ধর্মের ধর্মমতের মধ্যেও বসবাস করে । তাতে মানসিক অমর্য্যদা ঘটে । সামাজীক অমর্য্যদা ঘটে । তাই তোমার সমাজ , ধর্ম ও নৈতিকতার কাছে দায়ব্ধতা নাই । তুমি যেহেতু করুণার পাত্র । নৈতিকতার পাত্র নও। তাই তোমার পথটা আত্মবিশ্বাসের শক্তিতে উপলব্ধি করতে হবে । ”

“যে , যে পথ দিয়ে চলে চলে , তার গৃহে ফেরার পথ হয় সেইটি । যেহেতু তুমি প্রতিবন্ধী । তাই তোমার চলার পথ মস্তিষ্কের মধ্যে খোঁজ । মনোযোগ দাও তাতে তৈরী হবে তোমার বাঁচার পথ ।”

আমাদের দাবি ও প্রতিবাদঃ-
°°°°°°°°°′°°°°°°°°°°°°°°°°
@যে সব প্রতিবন্ধী কাজ করার মত সক্ষম তাদের কাজ দিতে হবে।

@যারা কাজ করার মত অক্ষম তাদের বাজার অনুযাযী পেনশন দিতে হবে ।

@ প্রত্যেক অফিস , স্কুল , কলেজ এবং বেসরকারি সংস্থায় প্রতিবন্ধী পরিবেশ দিতে হবে ।

@ যে কোন উৎসবে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে । যাতে তারা উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে ।

@ সারা ভারতে প্রত্যেক বাস্ট্যাণ্ডে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বাতরুমের ব্যবস্থা করতে হবে ।

@ প্রত্যেক জেলা ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল ও কলেজ তৈরী করতে হবে ।

@ সারা ভারতের প্রতিবন্ধীদের সরকারী আওতায় নিয়ে আসতে হবে ।

@সরকারী ভাবে প্রতিবন্ধী দের হুইলচেয়ার ও নানা প্রতিবন্ধী সরঞ্জাম দিতে হবে প্রতি বছর ।

@রেল ও বাসে প্রতিবন্ধী কার্ড ছাড়াই বিনাপয়সায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে । সেই ক্ষেত্রে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে ।

@যে সব প্রতিবন্ধী চিকিৎসা পেলে স্বাভাবিক জীবন পাবে তাদের চিকিৎসা ভার সরকারকে নিতে হবে ।

@প্রতিবন্ধীদের পেনশন প্রতি মাসেরটা প্রতিমাসে দিতে হবে ।

@যারা একদম অক্ষম প্রতিবন্ধী তাদের সরকারি হোমে রেখে বাকি জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হবে ।

@ প্রতিবন্ধী শব্দ তুলে দিয়ে লিখতে হবে “ অন্য উপায়ে সক্ষম” ।

শীতের আবির্ভাব

মোঃইমাম হোসেন দিদার

লাগছে গা য়ে শীতের আভা
সন্ধা হবার পারে,
আকাশ বাতাস পাহাড় ফুঁড়ে
শীতযে পড়ছে গা য়ে।

হালকা কাপড়-জামা পরে
যাবেনা বেরনো বাইরে,
মায়ের কথা,বেরোতে হলে
শীতের কাপড় চাইরে।

সকালবেলা শিশির পড়া
খুশিতে রাজ্য ভরা,
আবাল বৃদ্ধ সবাই দেখ
শীতের কাপড় পরা।

শীতের পিঠা মস্ত মজায়
চলে আসে তখন,
কী যে মজা খেতে এটা
যেন পুরো মাখন।

শীতের আভাস পড়ছে দেখ
শহর কিংবা গঞ্জে,
শীতের গীতে ভরবে প্রাণ আর
ভরবে সবার মন যে।

সুরে সুরে বেরিয়ে এল

নাড়ু  গসিপ্

~~~~~~~
সত্যিই পূজোর সময় সেইসব হরেক কিসিমের নাড়ু, খইভূজো আর হলুদরঙা মুড়ির সঙ্গে ডুমুরের ফলভাজা - সেএক স্মৃতিমেদুরতা !  কবেকার খাওয়া সহপাঠীদের বাড়ির নারকেল নাড়ু, তিলে নাড়ু এমনকি গুড়কলাই নাড়ুরও সেই সুস্বাদের কথা মনে পড়লে এখনও জিভে জল আসে ! শারদুৎসবের মাসদুয়েক আগেই আমরা ঠিক করে নিতাম সেবার কোন গ্রামে যাব।

দেখেছি রায়বাড়ির বয়ঃবিধবাকর্ত্রী ছোঁয়াছুঁয়ি এড়িয়ে দূর্গা-মণ্ডপে আসতেন দুধসাদা শাড়িতে মোহময়ী হয়ে, তিনি কি-যেন একটা শুরুয়াৎ করে দিয়েই গা-কাপড় বাঁচিয়ে আবার দরদালানে উঠে যেতেন। তারপরই ঢাক বাজত, বাড়ির অন্যান্য সদস্যা'রা শাঁখ বাজাত, উলুধ্বনি দিত ; সেইসঙ্গে চলত নাড়ু-উৎক্ষেপন।

আর তা নিয়ে ছেলে-ছোকরাদের হুড়োহুড়ি পড়ে যেত, সেগুলি কুড়িয়েই সটান মুখে পুরে দিত - পাছে অন্য কেউ কেড়ে নেয়। একবার একছেলে মুখে তুলতেই কেমন যেন বিস্বাদ লাগে, সঙ্গেসঙ্গে উগলে ফেলে পুকুরঘাটে কয়েকবার কুলকুচি করে নেয়, ভেবেছিল মাটি-ফাটি হবে বোধহয় ; ঠিক তখনই ব্যাপারটা লক্ষ্য করে অন্যজন বলে --
" আরে তুই কী খেয়েছিস ? ...এই এই সবাই শোন, ও নাড়ু ভেবে কুকুরের ... "
আর দেখে কে, ' হক হক ' করে  সে-কী বমি ...

মাফ করবেন, আসলে সারমেয়র শুকনো বিষ্ঠা আর ঘরে বানানো চিনির ভিয়েনের নারকেল নাড়ু পার্থক্যটা ছিল সূক্ষ্ম। আর এখন তো প্রায় সবই বাজারী।
                                 -- জাহাঙ্গীর  হোসাইন

লিভ্টুগেদারে

স্নিগ্ধসত্তা (সুলেখা সরকার)

পাশাপাশি দুটো পথ লিভ্টুগেদারে
কয়েক বছর
  সারি শাল সঞ্চিত শুকনো পাতা ঠেলে
  মাটির সন্ধান
  মিলিটারি ক্যাম্প ছাড়িয়ে তুই আমি
  চারটি পা
  মডেল ট্যাঙ্ক হেরিটেজ হবে ।
  উদবিড়ালের স্কাল্ প্ চার,
  টাইল্ স  কেটে মিলিটারিদের
  হোয়াইট্ - ব্রাউন্ খেলনা হাতি, 
  মাঠ পেরিয়ে  অন্য পথ
  যাবি ?
  অচেনা চেনা হবে ? 
লাল - কালো চুল হেলমেট্ -এ বাঁধা
  গাড়ির স্পিড্ রাস্তায়
  ভিডিওর ভিড় ফূডসেন্টারে
পত্রলেখা চোখের কোণটায়
হাত ছেড়ে যায় লাইফ স্টাইল
  একমিনিট ,  কন্ ডোলেন্স্।

গালে গড়ানো নীল ফেনা সমুদ্র হয়।।

বন ভোজন

ডাঃ অরুণ কুমার দাস

বনভোজন শেষ করে
মৃত্যুদন্ড নিয়ে বাড়িযাচ্ছে রাত
আমরা যারা অগ্নিস্বাক্ষী হতে এসেছি

সম্ভাবনাময় আগুনের চারপাশে 
ভিক্ষাজীবী - - -

নারীপুরুষ  নির্বিশেষ
জঠরাগ্নী নিভেগেলে জলঢালি
আরো আরো ট্রেন ঢুকেপড়ে
                           লোভ - কাম - ক্রোধ - - -

সহযাত্রী লাস্য ছড়ায়

রুমাল উড়িয়ে আমলকীবনে নতুন সকাল
আবার একদল ভ্রমনার্থী
বনভোজনের আয়োজন করে কাঠ সাজায়

কেউ পোড়ে
কেউ আগুন পোহায়

এ বং

রোদের লাস্য দেখতে দেখতে
এনাটমি বিশেষজ্ঞ দিন
নিত্যসম্ভব ঝর্নার পাশে দু- রকমের ঈশ্বর
সম্ভবত আমার আগের কোন জন্মের আত্মা
গাবাঁচিয়ে চলে যায়

শনিবার রাত গণিতপাঠের আনন্দ বিকোয়
মর্ত্যধামে

যেহেতু আমার মাপের আর একটা আমি
এখনো তেমন নিত্যযাত্রী নই
দৈনন্দিন কুড়িয়ে রাখি জানালার রোদ্দুরে

দূরদর্শীরা অন্তরীক্ষের নাদ শুনছে

আছে আর নেই এর যে কোনদিকে তর্ক
স্বরুপে ফিরি, ফিরতেই হয় -
গাবাঁচানোর দিকে মন
মন ভূ-গোল ব্যকরণ মিলিয়ে বিয়োগান্তক

কন্ঠস্বর তেমন জনান্তিক যেমন - দেশলাই
জ্বালানোর আগের সিগার ।

সুদীপ লোহারে’র অনুকবিতা

একালের একলব্য"
                 

ভালোবাসাকে আমি খেয়ালি বাতাস ব'লে ডাকি ,
আর তুমি ঠিক দ্রোণাচার্য ।
আমি তো অর্জুন নই -
আমি এক অনার্য যোদ্ধা ।
তোমার ঠোঁটের সাইনাইডে আমি নীলকন্ঠ হতে পারি ,
কিন্তু এই বৃদ্ধাঙ্গুলি---একান্তই আমার।

ইতিহাস হয় সময়

দেবব্রত সরকার

শ্রদ্ধা করতে মন চায় মন চায় শ্রদ্ধা করতেই 
আপনার জন্য গাল পেতে আহ্বান করি আর্শীবাদ
আপনার জন্য কলম তুলেদিই ইসাকপনের টেক্কা 
তাসের ঘর কে সাজিয়ে তুলে জীবন্ত সংসারঘর
সময় এখন ইতিহাস ইতিহাস এখন পঞ্চাশ গড় আয়ু ভারতীয়র মতই 
তারপর! তারপর কোন এক নতুন যুদ্ধ সময় বাঁচানোর
প্রেম করে সহবাস করা  যার সাথে সেও কতটা পথ হাঁটে দেখবে সময় 
অপেক্ষার দূরত্ব এঁকে রোজনামচায় ঘর সাজিয়েছে আমার প্রেমিকা
তাকে বেশ লাগছে আমার সুখের কান্নায় এটা মেয়েরাই পারে ! পারে মেয়েরাই !
যখন কলম রেখে মানুষ হই তখন ভাবি মেয়েরা আসল হীরের মর্যদায় বোঝেনা 
কারণ ওই হীরেটা যমকালো কয়লার ভেতর দীর্ঘ সময় ধরে থেকে উজ্জ্বলতা ঢেকে রাখে
ঢেকে রাখা সময়, কখন গড় আয়ুতে হেঁটে যায় চশমার কাঁচ মুছে ভুল স্বীকার করে খমা চায় আদুরে হৃদয়া 
আর চিত্রগুপ্ত পৃষ্ঠা উল্টোয় যমরাজের করা নির্দেশে শাস্তির প্রোহর গুনে ইতিহাস হয় সময়
যে সময়ের গল্প শুনে ইতিহাস হয়না ইতিহাস গেঁথে রাখে তাকে শ্রদ্ধা করে গাল পেতে আহ্বান করি আর্শীবাদের !
                                   ---------

দোষ

সায়ন ব্যানার্জী

তোমার ব্যালকোনির পরন্ত রোদে
তুমি স্নান করছো দাড়িয়ে, রোজের মত
কোন এক বৃষ্টির দিনের কথা ভেবে,
তোমার মন উদাসীন
আমি সবই বুঝি, সেই বৃষ্টির কাছে
আমারও অনেক কৈফিয়ত চাওয়ার বাকি
তবু যখন তোমার চোখের একফোটা অশ্রুবিন্দু
দিনের শেষ রোদের ছোঁয়ায়, একচিলতে স্বর্ণকনায় পরিণত হয়
তবু যখন তোমার নরম দুই হাত, ব্যালকোনির লোহার রেলিং
আঁকরে ধরে শক্ত করে
তখন ভাবি, দোষ কার ছিল,
বৃষ্টির? বয়সের? না চাহিদার?......।।

রাশের মাজীর গুচ্ছকবিতা

গোপন কথা

শূন্য দেওয়াল কথা বলে, একাকী
গভীর রাত্রে
কার সহে, জানে না কেহ
কেবল ঘড়ি
টিকটিক করে আপন মনে চলতে চলতে
শুনে সে কথা

কল্পনা

-------------------
চোখের পলক যায়না ফেলা
তোমার রুপের ছটা দেখে
দাঁড়িয়ে আছ একলা তুমি
ওই নদীর পাড়ে বকুলের ধারে
আমিও কি থাকতে পারি
দাঁড়িয়ে তোমার পাশে
দিনের শেষে অস্ত নামে
গোধূলি বেলার দিগন্তে
মেরু আলো মিশছে ওই
নদীর পাড়ে বালির চড়ে
সেইখানেতে দাঁড়িয়ে তুমি
দেখছ চেয়ে নদীর পাড়ে
বক পাখির মাছধরা কৌশল
সোনালি বালির ওপর মিশেছে
বকের দুধ-সাদা পালকের সারি
আমি চেয়ে দেখে মুগ্ধ হলাম
সোনালি বিকেলের আলোকিত রুপ

মনেড়ে

মনে পড়ে সেই পুরানো দিন,
যেখানে তুমি আমি, আর আমি তুমি
করেছি কতই না আমোদ, ঘুরে হেতা সেথা।।
আজ শূন্য বুকে,ভাবছি তোমায়,
কত সহজেই ভুলে গিয়েছ আমায়।।
তবে কি ছিল সেগুল! ছলনা?
ভরা নদীর ভরা আনন্দ
আজ,শূন্য নদীর চোরা বালিতে-
জ্যোৎস্নার আলো মুখ ফিরিয়া লয়।
আমি একলা বসে ভাবছি তোমায়...
আসবে আবার কবে, জোয়ারের সাথে।।

সাজিয়ে নাও স্বপ্নকে

অমল ভট্টাচার্য্য
--------------------------------

আজকাল স্বপ্নের রঙগুলো ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ,
স্বপ্নেরা হয়েছে স্যাঁতসেঁতে  আবৃত জালে ,
ওদের আজকাল পারিনা উপলব্ধি করতে,
মনে হয় স্বপ্নেরা যেন পচে গেছে ,
স্বপ্নগুলো প্রতিরাতে ছড়ায় গন্ধ স্যাঁতসেঁতে !

আগে স্বপ্নে পেতাম মাটির সোঁদা গন্ধ ,
আজ সে সব অজানা গন্ধ হয়েছে বন্ধ !
স্বপ্ন ভরে থাকে বেকারের হাহাকারে,
স্বপ্ন ভরে থাকে ক্ষুধার্ত শিশুর চিতকারে,
স্বপ্ন ভরে থাকে অনাথের আর্তনাদে,
স্বপ্ন ভরে থাকে ধর্ষিতার কান্নাতে,
স্বপ্ন ভরে থাকে নববধূর চিতার গন্ধে,
আমার স্বপ্ন ভরে থাকে অপবিত্র আঁশটে গন্ধে  !

আমার বয়স হয়েছে,
স্বপ্ন দেখার সময় শেষের পথে !
যারা থাকবে সুন্দর এ পৃথিবীতে,
সাজিয়ে নিক স্বপ্নগুলোকে দেখার মতো করে !

প্রেমিকার নাভিতে ভ্রূণ

মীরাজ হোসেন

.
প্রেমিকার নাভিতে ভ্রুণ
চমকে উঠি
তিলতিল করে বেড়ে ওঠে অাতংক।
.
জোর করে প্রেমিকা
পালাই নিরুদ্দেশ
বিবেকের মথিগলি ঘুরে
অাবার ঘরে ফিরে
প্রেমিকার নাভির ঘ্রাণ শুকি।
.
দূরে কেন?
কাছে এসো প্রিয়মুখ
ক্যামেরায় ছবি তৃলি
অার যে চিত্র রিলিজ হবে
তার রিল রঙিন সুতোয় বুনি ।

রাজ-সত্যের লীলা

- অবার্চীন

শোনো মহারাজ, এই বুঝি কাজ!
এই বুঝি সুশাসন?
অলিতে, গলিতে, বেদীতে, গদিতে
বাদর আস্ফালন!
শোনো মহারাজ, দোষ তব নয়-
মূর্খ প্রজার ভুল,
উল্লুক জনে দেবকূল মেনে
সঁপেছে অর্ঘ্য ফুল।
কুকুরের লেজে ঘন্টা বাধিঁয়া
পুরোহিত কর তারে,
মসজিদ ভার দিলে বেসুমার
কাঠ-মোল্লার ঘাড়ে।
মন্ত্র সাধিয়া আয়াতে বাঁধিয়া
অবোধেরে শুষে খায়,
অনুসারী যত, তোমাদেরি মত
বাকিটুকু লুটে যায়।
আহা মহারাজ বুলি তোমাদের
সর্ব মিষ্ট মধু,
প্রজাহিত কর কেঁদে কেঁদে মর
স্বার্থান্বেষী সাধু!
এই ধারে মারো, দোষ ওই ঘাড়ে
মরে তোদের কেউ?
মরিলে কেহ বা, আবদার উঠে
রাজার পুত্র সেও!
মারো পথে ঘাটে মারো ঘরে হাটে
সন্ত্বান তব নয়,
তবু বলি রাজা, মানুষ সে জন,
পিতা আছে নিশ্চয়!
জেনেছো কি কভু, ও মাটির প্রভু
এ লাশের পরিচয়,
তার আশে যে বা ঘরে বসে, তার-
প্রাণে না  যাতন সয়।
প্রজার লহুতে যেই রাজটিকা
লয়েছো ললাটে ভরি,
তার ঋণ শোধ হবে আলবত
আপন লহুতে তোরি।
গণ-আদালতে সস্তা কালিতে
লিখে দিলাম এই রায়,
কাঠগড়ে তুমি, প্রজার আসামী
দেখি কে তা খন্ডায়!
আমারে শুধাও? কি নাম আমার?
কি আমার পরিচয়?
কি জাত, কি পেশা, কোথা বাড়ি ঘর,
মনে বুঝি সংশয়?
এই রাজ্যেই জন্ম আমার
নাম আলী শংকর,
পেশা কবি কহি, জাতে বিদ্রোহী
বঙ্গে আমার ঘর।