Saturday, December 3

ইতিহাস হয় সময়


দেবব্রত সরকার


শ্রদ্ধা করতে মন চায় মন চায় শ্রদ্ধা করতেই
আপনার জন্য গাল পেতে আহ্বান করি আর্শীবাদ
আপনার জন্য কলম তুলেদিই ইসাকপনের টেক্কা
তাসের ঘর কে সাজিয়ে তুলে জীবন্ত সংসারঘর
সময় এখন ইতিহাস ইতিহাস
 এখন পঞ্চাশ গড় আয়ু ভারতীয়র মতই
তারপর!
তারপর কোন এক নতুন যুদ্ধ সময় বাঁচানোর
প্রেম করে সহবাস করা
যার সাথে সেও কতটা পথ হাঁটে দেখবে সময়
অপেক্ষার দূরত্ব এঁকে রোজনামচায়
ঘর সাজিয়েছে আমার প্রেমিকা
তাকে বেশ লাগছে
আমার সুখের কান্নায় এটা মেয়েরাই পারে !
পারে মেয়েরাই !
যখন কলম রেখে মানুষ হই
তখন ভাবি মেয়েরা আসল হীরের মর্যদায় বোঝেনা
কারণ ওই হীরেটা যমকালো কয়লার ভেতর
দীর্ঘ সময় ধরে থেকে উজ্জ্বলতা ঢেকে রাখে
ঢেকে রাখা সময়,
কখন গড় আয়ুতে হেঁটে যায়
চশমার কাঁচ মুছে ভুল স্বীকার করে খমা চায় আদুরে হৃদয়া
আর চিত্রগুপ্ত পৃষ্ঠা উল্টোয় যমরাজের করা
নির্দেশে শাস্তির প্রোহর গুনে ইতিহাস হয় সময়
যে সময়ের গল্প শুনে ইতিহাস হয়না
ইতিহাস গেঁথে রাখে তাকে শ্রদ্ধা করে
গাল পেতে আহ্বান করি আর্শীবাদের !

তসলিমার সাধ

প্রিয়ব্রত


                সূর্য যখন দিনকে ডাকে 
                          আকাশ টাকে লাল করে                                                                                 ফিরব আমি  তোমার কোলে
                                 সর্ষে ক্ষেতর আল ধরে

                             পাখ-পাখালির কলরবে 
                                   উঠবে গো রোদ উঠোন কোণে
                         দেখবে আমি দাঁড়িয়ে আছি
                                             শিশির মেখে ফুলবনে

আশাহত প্রস্তাবনা


বিদ্যুৎ দেব


অমিল বিশ্বাসে দেয় কালো রং ।ওরা দেয় সাম্প্রদায়ীক বীজ বুনে।তল্পি-তল্পা সমেত পালায় নিরীহ প্রাণ।
হতাশা বাগান পেরিয়ে আশ্র‍য় নিই শান্তি গাছ তলায়।পাখির কন্ঠে প্লাইওভার গান।জয়ের প্রার্থনায় দিই রাহু পূজো।

শীতের আবির্ভাব


মোঃইমাম হোসেন দিদার

----------------------
লাগছে গা য়ে শীতের আভা
সন্ধা হবার পারে,
আকাশ বাতাস পাহাড় ফুঁড়ে
শীতযে পড়ছে গা য়ে।

হেমন্তের ঘ্রাণ


সন্দীপ বন্দোপাধ্যায়


কুয়াশার হিমেল চাদর জড়িয়ে হেমন্ত এসেছে পৃথিবীর বুকে ।
সোনালী ধানের গন্ধে ভরেছে চারদিক !
নরম ঘাসের ডগায় কখন যেন নিঝুম রাতের অশ্রূ টলমল মুক্তো হয়ে ঝরে পড়েছে !
মাঠজোড়া সবুজ ধানের দোলাতেও যেন তারই অভিবাদন ।

নিষিদ্ধ বলয়


 কালের ক্যামেরাম্যান

       ____________________
না-বলা সত্যিটা, মনের কোণায় হাসে
দ্বিধার সমাপ্তি খুঁজে ফিরে মন
জন্মেছি যেহেতু, শিকল পড়েই ভবে
সতর্ক পাহারা কেন মিছে পণ।
বেবাক শিখায়, দুর্বোধ্য ধরার বুকে
শিক্ষার সূচনা নেই যেন শেষ
মঙ্গল সাধিতে, নতুন বিধান রেখে
না-এর সাগরে দিন কাটে বেশ।

গরম ধোঁয়া ওঠে ওপরে


মম

...........................................
উঠনের দক্ষিণ কোণে , ধান সেদ্ধর চালা ; কাঠের জোড়া উনুনে , বাগানের ঝরা পাতার জ্বাল দিয়ে , মাটীর একজোড়া হাঁড়িতে সেদ্ধ হয় ; রোজ ভোরে ; গরম ধোঁয়া ওঠে ওপরে ........ নিজেদের জমীর-ই ধান ; উঠনে-ই খেঁজুর পাতার চ্যাটায় ঢেলে , তা শুকনো-ও করা হয় ; তারপর তা ধান কলে ভাঙ্গান হয় ; সে চাল , উঠনের মড়াইএ সঞ্চয় করে রাখা হয় ; সারা বছর তা খাওয়া হয় ; তিন ছেলে ও চার মেয়ে নিয়ে , কর্তা-গিন্নীর সংসার ; কেউই বেশি লেখাপড়া করে নি ; সবাই-ই চাষে খাটে ; সুখের সংসার ;

সবুজ ঘাস


রকি মিত্র


ওরে সবুজ ঘাস,
কতবার তোকে মারিয়ে চলে গেছি
কতবার আমার এই পা তোর বুকে লাথি মেরে-
তারপর একবার চেয়েও দেখেনি।
অথচ তুই আবার দাঁড়িয়ে গেলি!
এই তো সেদিন,