Wednesday, October 26

উৎপল তালধি

অথবা


একটি মেয়ে রোজ নির্দিষ্ট একটা গাছের তলায় নির্দিষ্ট একটা সময়ে দাঁড়িয়ে থাকে।আমিও ঠিক সেই সময় ঐ গাছতলা পেরোতে গিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে মেয়েটিকে চোখে গিলি । অন্যান্য পথিক আমাকে দেখে হাসাহাসি করে, হয়ত ভাবে, শালা, বুড়োভাম, ভীমরতিতে ভুগছে এবং আরো অনেক কিছুই। একদিন একটু দুঃসাহসিক বা ডাকাবুকো মানসিকতা নিয়ে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়লাম বদের ধাড়ি এক যুবকের  ঠোঁটের কাছে,। 

বেশ কয়েকমিনিট কথোপকথনের আকচাআকচিতে দুজনের মুখের ফেনার তোড়ে ঢেউ ভাঙতে শুরু করল ঐ গাছের ছায়া। কানে এসে সুরধ্বনি তুলল, মা, তোর কত রঙ্গ দেখব বল। যুবকসহ  এক যুবতী আড়চোখে আমাদের দেখে মুচকি হেসে বেরিয়ে যেতে যেতে বিশাল হোঁচটে হুমড়িবতী? 

যুবকের ঠোঁট সেলাই করে মুখ খুললাম, শালা, কী ভাবিস বল তো? আমি কোথায় দাঁড়িয়ে কাকে কতক্ষণ ধরে  দেখব, তোরা ঠিক করবি নাকিরে? যদি মানুষজাদা হোস তো আগামীকাল এখানে আসবি, তোকে দেখাব কাকে দেখি, কেন দেখি। 

পরের দিন যথাসময়ে সেই যুবক আর আমি মেয়েটির  প্রতীক্ষায় অকুস্থলে হাজির। মিনিটখানেক পরে মেয়েটি এসে দাঁড়াল সেই গাছের ছায়ায়। ডালের পাখিরা গান শোনাল, কাঠবিড়ালি তাকে নাচ দেখাল, মৌচাকের মৌমাছিরা যেন ফুলের খবর পেল, যুবকটি হতভম্ব হয়ে দেখল গাছের ছায়া গ্রাস করছে আমাদের মেঠোপথ আর ঐ মেয়েটি খিলখিল করে হেসে উঠতেই আমাদের মনে বাসা বাঁধল এমন একটা মানুষ যার বিকল্প নেই, যার চোখে প্রতিফলিত হয় কন্যা, জায়া, জননীর  সম্মিলিত প্রজ্ঞা পারমিতা। 

No comments:

Post a Comment

লেখা পড়ুন এবং মতামত জানান ।