নাড়ু গসিপ্
~~~~~~~
সত্যিই পূজোর সময় সেইসব হরেক কিসিমের নাড়ু, খইভূজো আর হলুদরঙা মুড়ির সঙ্গে ডুমুরের ফলভাজা - সেএক স্মৃতিমেদুরতা ! কবেকার খাওয়া সহপাঠীদের বাড়ির নারকেল নাড়ু, তিলে নাড়ু এমনকি গুড়কলাই নাড়ুরও সেই সুস্বাদের কথা মনে পড়লে এখনও জিভে জল আসে ! শারদুৎসবের মাসদুয়েক আগেই আমরা ঠিক করে নিতাম সেবার কোন গ্রামে যাব।দেখেছি রায়বাড়ির বয়ঃবিধবাকর্ত্রী ছোঁয়াছুঁয়ি এড়িয়ে দূর্গা-মণ্ডপে আসতেন দুধসাদা শাড়িতে মোহময়ী হয়ে, তিনি কি-যেন একটা শুরুয়াৎ করে দিয়েই গা-কাপড় বাঁচিয়ে আবার দরদালানে উঠে যেতেন। তারপরই ঢাক বাজত, বাড়ির অন্যান্য সদস্যা'রা শাঁখ বাজাত, উলুধ্বনি দিত ; সেইসঙ্গে চলত নাড়ু-উৎক্ষেপন।
আর তা নিয়ে ছেলে-ছোকরাদের হুড়োহুড়ি পড়ে যেত, সেগুলি কুড়িয়েই সটান মুখে পুরে দিত - পাছে অন্য কেউ কেড়ে নেয়। একবার একছেলে মুখে তুলতেই কেমন যেন বিস্বাদ লাগে, সঙ্গেসঙ্গে উগলে ফেলে পুকুরঘাটে কয়েকবার কুলকুচি করে নেয়, ভেবেছিল মাটি-ফাটি হবে বোধহয় ; ঠিক তখনই ব্যাপারটা লক্ষ্য করে অন্যজন বলে --
" আরে তুই কী খেয়েছিস ? ...এই এই সবাই শোন, ও নাড়ু ভেবে কুকুরের ... "
আর দেখে কে, ' হক হক ' করে সে-কী বমি ...মাফ করবেন, আসলে সারমেয়র শুকনো বিষ্ঠা আর ঘরে বানানো চিনির ভিয়েনের নারকেল নাড়ু পার্থক্যটা ছিল সূক্ষ্ম। আর এখন তো প্রায় সবই বাজারী।
-- জাহাঙ্গীর হোসাইন
Sunday, December 4
সুরে সুরে বেরিয়ে এল
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment
লেখা পড়ুন এবং মতামত জানান ।