বিরহগীতান্তে
মেঘদূতের পাঁজর ভরে এসেছিলে দক্ষিণা হাওয়ায়। হাওয়ায় মিশেছিলো অপরিমেয় দুঃখভরা গল্পকথা। অবর্ণিত রেখে দিতে চেয়েছিলে বয়ানের পৃষ্ঠাগুলো। একে একে খুলতে হলো সে মহড়া মানুষের জীবন হতে নেয়া সূত্রগুলোর বরাতে। যেভাবে মানুষ ভালোবাসে অপরিসীম আকাশ, সূর্য, চন্দ্রিমা ফিরতি টানের অবিন্যাসে। শুধু তোমারই আস্তিনে নতুন প্রবেশিকা ঘটানোর লক্ষ্যে।
মালা গাঁথা হলেই কী ফুলের মালা হয়? ফুলের রাজ্যে নিজেকে নিরন্তর আপামর করলেই কী ফুলজ হয় মানুষ? প্রেম আছে বললেই কী সটান করে, প্রেমিকের দরবারে বুক ভাসিয়ে দেয়া যায়? যায় না।
প্রেম দুরন্ত চাবি দেওয়া ঘোড়া। তাকে আয়ত্তে আনতে সময়ের নিষ্ঠা, নির্মোহ শ্রদ্ধা দিয়ে লালন করে যেতে হয়। পর্বে পর্বে তারই ধারাবাহিক স্তব গড়া হয়েছে, তোমার পিছলে যাওয়া বিরহগাঁথার যবনিকা পটে।
বদলে যাওয়ার কোনো অবারিত সময় হয় না।
এগিয়ে যাওয়ার নামই সবধন্যে জীবন হয় না।
নতুনত্বের কাছে, উদ্ভবের কাছে, চৈতন্যের কাছে, সামগ্রীকের কাছে সমর্পিত হয়ে, পরখের দরবারে মন্ত্রিত্ব করলে, প্রেম নবো ভালোবাসার ফুল ফোটাতে আকুল হবে না কেনো, বলো তো?
No comments:
Post a Comment
লেখা পড়ুন এবং মতামত জানান ।