নৃপূংশক
হাত পা ছোঁড়ায় ক্রমে বলহীন। মর্মভেদী আর্তনাদ।
মর্যাদা গেলে শরীর-মনের বাঁধে চরম বিসংবাদ।
ক্ষমতালোভী রাক্ষস তারা ধরল চেপে গলা
প্রাণের নিবাস দেহখানি হল জীবিত মাংসদলা।
অন্তর ছেড়ে নিরুদ্দেশে কোথা অন্তর্যামী
অন্ধ ললাটে লেখা ছিল শুধু ক্লেশ-ক্লেদ আর গ্লানি।
হাতের ফাঁদে সর্বশরীর বাঁধা নাগপাশে তার
চাপা দেওয়া মুখে গুমরে ওঠে অসহায় চীৎকার।
সেই চীৎকার মন্থনে যারা পূর্ণ করছে রাক্ষুসে শখ
যে ওষুধে তাদের পৌরুষ বাড়ে আমায় বানায় নৃপূংশক।
যে পৌরুষে রক্ত মাখা অবদমিতার যাতনা-ক্ষোভ
চাই না আমার সেই পৌরুষ ধন্য আমি নৃপূংশক।
হেরে যাওয়ার অপেক্ষায়
এত তাড়া কিসের
আর একটু সবুর কর
ও আসবে।
সুতপা গেছে,
ঈশিকা আসবে,
বৃষ্টি গেলে মেঘ।
সময়?
কি হবে সময় জেনে?
গড়ার সময়
সময় আমায় ভেঙ্গেছে
মানুষ হওয়ার সময় আমাকে
অমানুষ বানিয়েছে।
সেদিন সময় আমায় নষ্ট করেছে,
আজ আমি সময় নষ্ট করছি।
আরে সিগারেটটা হাওয়ায় পুড়ছে যে
আর দু গ্লাস বিয়ার ঢালি
অপেক্ষা কর, ও আসবে
শেষতক ও আসবে।
প্রলাপ
ভালোবাসা আমি বুঝিনাতো সখী--কোনদিনো বুঝবনা।
আমি শুধু বুঝি মানবিক-বোধ জীবনের যন্ত্রণা।
অধিকার কেউ দেয়না কাহারে। অর্জন করে নিতে হয়।
তবে কেন দিয়েছিলে অধিকার তোমাকে করতে জয়।
প্রেম বুঝিনাতো। স্বার্থ বুঝি।বিশ্বকে ভাবি ঘর।
সবারেই ভাবি নিজের বলে। বড়ই স্বার্থপর।
অনেক আঘাত দিয়েছি তোমাকে।কি'ই বা করেছি প্রমাণ?
বড়ো কিছু করে বড়ো হতে চেয়ে--সবথেকে ছোট হলাম।
তোমারি কাছেতে শিখেছি কিভাবে কথা বলে নীরবতা।
তোমাকে হারিয়ে নীরবে কেঁদেছি গোপনে রেখেছি ব্যাথা।
কালের বলি তুমি আর আমি। নেইতো কাহারো দোষ।
বিরহের যে বাজলো সানাই--সেযে রুদ্রের আক্রোশ।
বেঁচে থাকি চল কাল বাহুপাশে। সুখে হাসো প্রিয়তমা।
মনে রেখো শুধু কাউকে আমরা করতে শিখিনি ঘৃণা।
তোমার-আমার আদর্শ এক দুজনী হৃদয় কাঙাল,
জীবন যুদ্ধে সরাব পৃথিবীর যাবতীয় জঞ্জাল
অতি দস্তুরে তর্ক বাড়ে; ব্যথা পায় হত মন।
কথার পাহাড় ফেলে রেখে এস শানাই আক্রমণ।
Sompadok mohadhoy ke Antorik kritogyota ebong Osonkhyo dhonyobad amar kobita gulike potrikay sthan deoar jonyyo.
ReplyDeleteAsha rakhi kobita guli pathoker mon chuye jabe.
ধন্যবাদ রইল । পড়ুন এবং নিয়ম করে লিখুন ।
Deleteধন্যবাদ। অবশ্যই। আপনার মূল্যবান মতামতে সমৃদ্ধ হলাম।
Delete