Friday, October 21

নির্মল কুমার প্রধান


পথের পারে



 ১
 

পথটা গেছে কোন অচিন পথে ----
আঁকাবাঁকা ,সবুজ-ধূসর ঢাকা
পর্ণে-তৃণে কার যেন রূপ আঁকা
 বরণ করি আশায়-তৃষায় প্রাণে
     অন্তর-মন ,গহিন হৃদয় হ' তে ।

আকাশ ছুঁয়েছে নরম মাটির বুক ----
ঝর্ণা ছোটে কার বুঝি গান গেয়ে
বাতাস লুটে তারই ছোঁয়া পেয়ে 
পাখিরা সব কূজন সুখে মাতে
    আমি যে পাই ভালোলাগার সুখ ।

পথ যে টানে সুদূর সীমানায়  ----
আমি যাকে সারা জীবন খুঁজি
আপন চেয়ে আপন ক'রে বুঝি
সেথায় বুঝি দুয়ারটি তার খোলা
     স্বর্গ এসে লুটছে নিরালায় ।



মেহেন্দি

হাতের সুন্দর  নক্সাজাল
ফুটিয়ে তুলেছিল দুধে- আলতার লালিত্যকে
কনক কাঁকন ঝনক ঝনক বাদ্যি ও
ছন্দে ভরাট করেছিল রাজহংসী পথ চলাকে
তালে তাল মিশিয়েছিল
        নূপুরের নিরন্তর নিক্কণ সুর ---
সেই হাতই কখন পড়েছিল আমার হাতে
একফালি শুক্লাচাঁদের 
অমায়িক চাঁদনী হাসি ঝরা রাতে
ঘরছাড়া উদাস রাখাল বাঁশীর মত
আমাকে বাউরী করেছিল ভালোবাসার বসন্ত। 

আজ সমস্ত চিহ্ন রূপান্তরিত হ'য়ে
রূপরেখা টেনেছে সপ্তর্ষি জিজ্ঞাসা চিহ্নের 
তবু আকাশের বিবর্ণ না হওয়া নীল
বিলীয়মান না হওয়া গোলাপী লাল
স্তিমিত না হওয়া বিকেল হলুদ
যেন মিলেমিশে আমাকে রাঙিয়েছে
অপরূপ এক মেহেন্দি রঙে ;
সেই হাসি , সেই চোখ-মুখ , রঞ্জিত প্রেম
আমাকে করেছে বেদনা - বিলাসী।

No comments:

Post a Comment

লেখা পড়ুন এবং মতামত জানান ।