Friday, October 21

জয়তী দাস


কেঁপে ওঠা সন্ধ্যার শিখায়




শেষ শিখাটি নিভে যাওয়ার আগে 
যে করুণ কাতরতা নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো, 
সেই অসহায় সময়ে আমিই বোধহয় ছিলাম ঈশ্বর! 

কেন তাকে অন্ধকার থেকে অন্য অন্ধকারে ভাসিয়ে দিলাম! 

যে সকালের মাটিতে গাছ ও জীবনের ভূত-ভবিষ্যৎ নিয়ে মেতে ছিলো শিশু গন্ধ 
তাকে তো ফিরে যেতে হবেই একদিন শেকড়ের সন্ধানে.. 

তাই সুতোর পাল্টা বুননে- ধুলোঘর ভেঙে ভেঙে ;
গড়িয়ে যাই পাহাড় থেকে পাহাড়ে- ঘুড়ির মতো পাক খেতে খেতে ;
মাঝ আকাশে দেখি আকাশ বলে কিছু নেই... 

মানুষের মুক্তি যদি খিদেই মেটে! বেদ উপনিষদ বাইবেল কোরান -
আর সেই চিরকালীন প্রার্থনা ঘর- 
আমরা জন্ম চেয়েছি প্রতি আয়োজনে! 

মৃত্যু সবসময় জৈবিক চেতনাকে চেয়েছিলো,
আমরা মৃত্যুকে নিজেদের হাহাকারে নিয়ে পৌঁছেছি-


--------

চেয়ারের অন্ধত্ব 


সেদিন হয়তো আমি আসবো 
কিংবা আসবো না,

অশোকবনে ঢাকা ছিলো সেই জোনাকি 
তুমি তাকে একটা আংটি দিলে। 
তারপর উত্তর পশ্চিম,পূর্ব দক্ষিণ 
জল এবং স্থলে 
লখিন্দরের টুকরো দেহ গিলে নিলো আস্ত বোয়াল -

খোলা অন্ধকারে লাইট এণ্ড সাউন্ড 
মনেহলো জীবন্ত অশরীরীরা জেগে উঠেছে 
আমার চারপাশে... 
রণক্ষেত্রের অস্ত্র শব্দ, প্রেতাত্মার অস্ফুট চিৎকার, অদ্ভুত আনন্দের হাসি -
কখন যে নেতা ধোপানী বাড়ি গিয়েছে চলে! 

হয়তো আমারও ফেরা হবেনা সেখানে 
তবুও তুমি যদি দেখো, 

গান স্যালুটে বিদায় দিচ্ছে চার পা ওয়ালা 
জড়জীবের লাশটাকে 
সমস্ত ব্যারিকেড ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেবে 
এক বিশাল ঢেউ...

No comments:

Post a Comment

লেখা পড়ুন এবং মতামত জানান ।