Saturday, December 3

গরম ধোঁয়া ওঠে ওপরে


মম

...........................................
উঠনের দক্ষিণ কোণে , ধান সেদ্ধর চালা ; কাঠের জোড়া উনুনে , বাগানের ঝরা পাতার জ্বাল দিয়ে , মাটীর একজোড়া হাঁড়িতে সেদ্ধ হয় ; রোজ ভোরে ; গরম ধোঁয়া ওঠে ওপরে ........ নিজেদের জমীর-ই ধান ; উঠনে-ই খেঁজুর পাতার চ্যাটায় ঢেলে , তা শুকনো-ও করা হয় ; তারপর তা ধান কলে ভাঙ্গান হয় ; সে চাল , উঠনের মড়াইএ সঞ্চয় করে রাখা হয় ; সারা বছর তা খাওয়া হয় ; তিন ছেলে ও চার মেয়ে নিয়ে , কর্তা-গিন্নীর সংসার ; কেউই বেশি লেখাপড়া করে নি ; সবাই-ই চাষে খাটে ; সুখের সংসার ;

সবুজ ঘাস


রকি মিত্র


ওরে সবুজ ঘাস,
কতবার তোকে মারিয়ে চলে গেছি
কতবার আমার এই পা তোর বুকে লাথি মেরে-
তারপর একবার চেয়েও দেখেনি।
অথচ তুই আবার দাঁড়িয়ে গেলি!
এই তো সেদিন,

Wednesday, November 16

উপকূল

সোনালী দত্ত


উপকূল ডুবে যায় অন্ধকারে, সমুদ্র হাসে
ঢেউ  এর সফেন দেহ ভরে যায় চাঁদের সুবাসে
পায়ের চিণ্হ বুকে বয়ে চলে সাদা বালিয়াড়ি
প্রান্তর পার হয়ে ছড়িয়েছে জ্যোৎস্নার সারি

Thursday, October 6

উৎসব সংখ্যা-১৪২৩

অতিথি সম্পাদকীয়

পায়েল সামন্ত

গুচ্ছকবিতা

অভিষেক ঘোষ
রায়হান মুশফিক
সুরজিৎ সী, সৌরভ আহমেদ সকিবসকিব

কবিতা 

আনিসুর রহমান 
গোপাল দে 
দেবাশিস মুখোপাধ্যায় 
দ্বীপ সরকার 
নরেশ রায় 
মাসুম খান 
রাশেদ

নিঃসঙ্গ মহাত্মা ও এক রক্ষী




পায়েল সামন্ত
°°°°°°°°°°°′°°°°°°°°°°°°°°
কটিতে চলেছে প্রায় তিনশো বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল । রাত প্রহালেই উদিত হবেস্বাধীন ভারতের নতুন সূর্য । রাজধানী দিল্লি সহ প্রহর গুনছে পরম আকাঙ্ক্ষিত লগ্নের । পিছিয়ে নেই শহর কলকাতাও । কিন্তু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন এই রুপান্তরের প্রধান নায়ক । প্রশ্ন করছেন নিজেকে , হাজার হাজার, তাজা প্রানের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এলো  ,যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ` জাতির জনক ` সেই লক্ষ্য কি পূরণ হলো? তাঁর নিজের কাছে এর উত্তর 'না' ।

খণ্ডিত এই স্বাধীনতআ তো তিনি চাননি মহাত্মা । অথচ পরিস্থিতির এই বাধ্যবাধকতায় তাঁকেও মেনে নিতে হলো দেশভাগ । যন্ত্রনায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাঁর হৃদয়ে । তাই তিনি দিল্লির মূল অনুষ্ঠানে নেই । স্বাধীনতা উদযাপনের আনন্দ উৎসব থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে একাকী বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন কলকাতায় বেলেঘাটার হায়দারি মঞ্জিলে । নিঃসঙ্গ নায়ক পায়চারি করছেন অন্ধকার ঘরে । তাঁর সেই যন্ত্রনআর সাক্ষী ছিলেন একজনই । তিনি মহাত্মার দেহরক্ষী এক বাঙালি পুলিশ অফিসার , নাম হেমন্ত সেনগুপ্ত ।

নির্বাসন

সুকুমার সরকার
এবার আমাকে নির্বাসন দিও
কোনো শোভনীয় তৃণভূমে !
সে পথ যত কঠিনই হোক