Sunday, October 30

মনিরুজ্জামান প্রমউখ ( বাংলাদেশ )



ধোঁয়া উড়ে না 


অস্থিরতার ফুলদানিগুলো জমা করে বানিয়েছো 
গোপন রাগের পাহাড়। 
সে পাহাড়ে ওঠার জমাজাতীর কোনো সম্বল 
আমার সামর্থ্যে নেই। 

সুবর্ণ অফারের খোলা প্রান্তরের 
টিকেট তুমি পেয়েছো। 
কিন্তু নাওনি অবনিবনার মানদণ্ড খুঁড়তে খুঁড়তে। 

তবু দিনের অতিক্রমে দিন আসে পালক নিয়ে। 
নবো জাগরণের মোহ নিয়ে
পালিত হতে, দলিত হতে, মথিত হতে। 

আমরা ভালোবাসায় সমর্পিত হতে জানি না বোলে
ভালোবাসার চুরুট পাই ঠিকই। 
ধোঁয়া তাতে উড়ে না। 

পড়ুন এবং লিখুন

অন্যঋচ










web counter

তীর্থঙ্কর সুমিত


লতানো কলমিগাছে

লতানো কলমিগাছে
কত স্বপ্ন বিক্রি হয় প্রতিনিয়ত
আকাশের খোঁজে মেঘ হারিয়ে বৃষ্টি আসেনা
চোখের জলে নৌকা ভেসে যায়
অন্যের ঠিকানায়
প্রতিদিন হেঁটে চলেছে কেউ
সমুদ্র হতে সমুদ্র পথে নাবিক দাঁড়িয়ে,
দিক নির্ণয় এক অসমাপ্ত কাহিনী
তবুও প্রতিদিন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা
দর্শন আর দর্পন কখন যেন ফেরারী হয়ে

একটু বৃষ্টি দেবে স্নান করবো ভোরের আকাশে।

Saturday, October 29

সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক



মুখর মুখোটি 





মুখোটি–তারপরও মুখোটি – সংখ্যাতীত !

অবসাদ গণনাকারীর কণ্ঠহার। 

কেউ বলে, ঐ কর্ম কুকাজ 

কখনো শুনি, কাজটি বিরক্ত প্রহার। 

গণনার ভার অতএব বাহার 

শৌখিনতায় ঢাকা পাঁক। 

কিন্তু পাঁকেও ফোটে পদ্ম –

              বিস্ময়ে তাক !

এই পাঁক- পদ্মে গায়ত্রী মন্ত্র জাগে ,

          সুরাহার তুরীয় মুখটা ভাসে। 

মুখোটির মুখরতায় মুগ্ধতা হাসে 

           সংখ্যালঘুরা রুদ্ধ  বাক।

উজ্জ্বল দত্ত ( বাংলাদেশ )


এখন আর ভাল লাগে না


কোন কিছুই এখন আর ভাল লাগে না 
অস্থিরতার রঙিন হাওয়া 
বইছে তরঙ্গ নায়ের পাল তোলা বৈঠায়,
বসন্তের হলুদ পাখি বাসন্তীর মনপুরা গান
নিঝুম বেলার সান বাঁধানো উদাসীন পুকুর 
জোৎস্না মাখা স্বপনীল পৃথিবী
এখন আর ভাল লাগে না। 

শেখ আব্দুল খালেক ( বাংলাদেশ )



বিজলী ভয়াল মর্তে





মেঘে গর্জন করে তর্জন 

বিজলী ভয়াল মর্তে, 

নির্মম অতীব ভণ্ড বিভবে 

ঘৃণ্য মেকী শর্তে। 


যত আছে সব তস্কর সাধু

লিপ্ত ভয়াল কর্মে,

ওরা হিংসুক মঙ্গলনাশী

দেহ ঢাকা সব চর্মে। 


ওরা দাম্ভিক ওরা নির্মম 

নিষ্ঠুর ধরাতলে, 

হৃদয়ে গহীনে সুপ্ত অনল 

লেলিহান শিখা জ্বলে। 


ওরা দুস্তর রক্ত পিপাসু 

মানবের দুশমন,

নিধন যজ্ঞে মেতে ওঠে ওরা 

হানা দেয় ক্ষণে ক্ষণ। 


শান্ত ধরায় আসুর আত্মা 

লালসায় উন্মাদ,

অভাগা জাতি পায় না মুক্তি 

আঁধারে ভবিষ্যৎ। 


লাসের গন্ধে ধরণী নিথর 

ধ্বংসে রাক্ষস-পতি, 

অন্ধ বিবেক হননে মত্ত 

নাই তো মানব প্রীতি। 


লালসার ফাঁদে মানবতা কাঁদে 

সত্যের আলো ক্ষীণ,

সৃষ্টির সেরা বিশ্বমানব 

তব কি ধরায় হীণ! 


বন্দি জগৎ অসৎ শর্তে

মেলে না মুক্তি-পথ,

আলোর ভুবনে অন্ধ জগৎ 

আঁধারে ভবিষ্যৎ। 


জ্ঞানের রাজ্যে শোষকের থাবা

নির্মম অসহায়, 

কন্ঠ রুদ্ধ সূর্য আঁধারে

বিনাশের শোভা পায়। 


শুনরে যোয়ান চিৎকার ধ্বনি 

নিত্য বাতাসে ভাসে,

মৃত্যু শঙ্কা হৃদয়ে গভীরে 

কেঁদে মরে সব ত্রাসে। 


প্রলয় মত্তে অসুর আত্মা 

মানে না ধর্ম-বাণী, 

রুখ দাও যতো আসুর আত্মা 

বাঁচাও বিশ্বখানি।