Friday, December 9

।। শীত সংখ্যা ।। ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ।।

হাতের ডান দিকের সূচীপত্রে কবির নামের উপর ক্লিক করলে সেই কবির লেখাড়া যাবে ........

বেশ্যাবৃত্তি ও পর্ণোগ্রাফি পরস্পরের পরিপূরক

চিন্ময় মণ্ডল
আদি প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে নব্য প্রস্তর যুগের হাত ধরে বর্তমানে মানবসভ্যতা ন্যানো টেকনোলজিতে উপনীত হলেও উন্নত ভোগবাদী মানসিকতার বিকাশ ক্রমবর্ধমান যা সুন্দর সুস্থ সমাজব্যবস্থা গড়ার অন্তরায়।কেননা বর্তমান সভ্যতার প্রেক্ষাপটে যৌনব্যবসা বা গণিকাবৃত্তি ও পর্ণ সাইট এর মতো ঘৃণ্যতম সামাজিক ব্যাধিকে টিকিয়ে রাখার সুপার পাওয়ার হল ভোগবাদী মানসিকতা। যেহেতু ভোগবাদী চিন্তার অন্যতম হল যেনতেন প্রকারে জীবন কে উপভোগ করা।এই রাজনৈতিক নেতা-মস্তান, পুলিশ - প্রশাসন, হোটেল রিসর্টের মালিকদের সসম্মিলিত প্রয়াসেই আজকের এই যৌনব্যবসা ও পর্ণোগ্রাফির বাড়বাড়ন্ত, যা রাস্ট্র সযত্নে লালনপালন করে যাচ্ছে,কেননা যখন দেখছি উন্নত দেশ গুলো পর্ণোগ্রাফি বা পর্ণোসাইট বন্ধের তাগিদ অনুভব করছে তখন আমাদের রাস্ট্র নায়করা "নাগরিকের ব্যাক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ" কোরতে নারাজ বনাম নৈতিকতার ভোট বাক্স স্ফীতের তল্পিবাহক এর ভুমিকায় মহানুভবতার প্রতীক,সত্যি নাগরীক দের শয়ন কক্ষে উকি মারা কি রাষ্ট্রের কাজ

Tuesday, December 6

আলবিদা “আম্মা”

১৯৪৮-২০১৬
এক বর্ণময় জীবনের পরিসমাপ্তি ...........
রূপালী জগৎ থেকে রাজনীতির সফর .............. পিছু ছাড়েনি বিতর্ক , সমস্ত বিতর্ককে পেছনে ফেলে এক লড়াইয়েরই অন্য নাম হয়ে উঠেছিলেন জয়ললিতা। ....... যেখানেই থাকুন , ভালো থাকুন আপনি।।

Sunday, December 4

এঁরা সমাজের কারা

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস

আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস । প্রথমেই আমার সহযোদ্ধা প্রতিবন্ধী ভাই ও বোনেদের বয়স অনুযায়ী শ্রদ্ধা জানায় ।
“ জীবনের শারীরীক অক্ষমতা একটা খারাপ মনের মধ্যে বসবাস করে । সমাজের মর্য্যদার মধ্যে বসবাস করে । সামাজিকতার মধ্যে বসবাস করে । এমন কি ধর্মের ধর্মমতের মধ্যেও বসবাস করে । তাতে মানসিক অমর্য্যদা ঘটে । সামাজীক অমর্য্যদা ঘটে । তাই তোমার সমাজ , ধর্ম ও নৈতিকতার কাছে দায়ব্ধতা নাই । তুমি যেহেতু করুণার পাত্র । নৈতিকতার পাত্র নও। তাই তোমার পথটা আত্মবিশ্বাসের শক্তিতে উপলব্ধি করতে হবে । ”

“যে , যে পথ দিয়ে চলে চলে , তার গৃহে ফেরার পথ হয় সেইটি । যেহেতু তুমি প্রতিবন্ধী । তাই তোমার চলার পথ মস্তিষ্কের মধ্যে খোঁজ । মনোযোগ দাও তাতে তৈরী হবে তোমার বাঁচার পথ ।”

আমাদের দাবি ও প্রতিবাদঃ-
°°°°°°°°°′°°°°°°°°°°°°°°°°
@যে সব প্রতিবন্ধী কাজ করার মত সক্ষম তাদের কাজ দিতে হবে।

@যারা কাজ করার মত অক্ষম তাদের বাজার অনুযাযী পেনশন দিতে হবে ।

@ প্রত্যেক অফিস , স্কুল , কলেজ এবং বেসরকারি সংস্থায় প্রতিবন্ধী পরিবেশ দিতে হবে ।

@ যে কোন উৎসবে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে । যাতে তারা উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে ।

@ সারা ভারতে প্রত্যেক বাস্ট্যাণ্ডে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বাতরুমের ব্যবস্থা করতে হবে ।

@ প্রত্যেক জেলা ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল ও কলেজ তৈরী করতে হবে ।

@ সারা ভারতের প্রতিবন্ধীদের সরকারী আওতায় নিয়ে আসতে হবে ।

@সরকারী ভাবে প্রতিবন্ধী দের হুইলচেয়ার ও নানা প্রতিবন্ধী সরঞ্জাম দিতে হবে প্রতি বছর ।

@রেল ও বাসে প্রতিবন্ধী কার্ড ছাড়াই বিনাপয়সায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে । সেই ক্ষেত্রে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে ।

@যে সব প্রতিবন্ধী চিকিৎসা পেলে স্বাভাবিক জীবন পাবে তাদের চিকিৎসা ভার সরকারকে নিতে হবে ।

@প্রতিবন্ধীদের পেনশন প্রতি মাসেরটা প্রতিমাসে দিতে হবে ।

@যারা একদম অক্ষম প্রতিবন্ধী তাদের সরকারি হোমে রেখে বাকি জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হবে ।

@ প্রতিবন্ধী শব্দ তুলে দিয়ে লিখতে হবে “ অন্য উপায়ে সক্ষম” ।

শীতের আবির্ভাব

মোঃইমাম হোসেন দিদার

লাগছে গা য়ে শীতের আভা
সন্ধা হবার পারে,
আকাশ বাতাস পাহাড় ফুঁড়ে
শীতযে পড়ছে গা য়ে।

হালকা কাপড়-জামা পরে
যাবেনা বেরনো বাইরে,
মায়ের কথা,বেরোতে হলে
শীতের কাপড় চাইরে।

সকালবেলা শিশির পড়া
খুশিতে রাজ্য ভরা,
আবাল বৃদ্ধ সবাই দেখ
শীতের কাপড় পরা।

শীতের পিঠা মস্ত মজায়
চলে আসে তখন,
কী যে মজা খেতে এটা
যেন পুরো মাখন।

শীতের আভাস পড়ছে দেখ
শহর কিংবা গঞ্জে,
শীতের গীতে ভরবে প্রাণ আর
ভরবে সবার মন যে।

সুরে সুরে বেরিয়ে এল

নাড়ু  গসিপ্

~~~~~~~
সত্যিই পূজোর সময় সেইসব হরেক কিসিমের নাড়ু, খইভূজো আর হলুদরঙা মুড়ির সঙ্গে ডুমুরের ফলভাজা - সেএক স্মৃতিমেদুরতা !  কবেকার খাওয়া সহপাঠীদের বাড়ির নারকেল নাড়ু, তিলে নাড়ু এমনকি গুড়কলাই নাড়ুরও সেই সুস্বাদের কথা মনে পড়লে এখনও জিভে জল আসে ! শারদুৎসবের মাসদুয়েক আগেই আমরা ঠিক করে নিতাম সেবার কোন গ্রামে যাব।

দেখেছি রায়বাড়ির বয়ঃবিধবাকর্ত্রী ছোঁয়াছুঁয়ি এড়িয়ে দূর্গা-মণ্ডপে আসতেন দুধসাদা শাড়িতে মোহময়ী হয়ে, তিনি কি-যেন একটা শুরুয়াৎ করে দিয়েই গা-কাপড় বাঁচিয়ে আবার দরদালানে উঠে যেতেন। তারপরই ঢাক বাজত, বাড়ির অন্যান্য সদস্যা'রা শাঁখ বাজাত, উলুধ্বনি দিত ; সেইসঙ্গে চলত নাড়ু-উৎক্ষেপন।

আর তা নিয়ে ছেলে-ছোকরাদের হুড়োহুড়ি পড়ে যেত, সেগুলি কুড়িয়েই সটান মুখে পুরে দিত - পাছে অন্য কেউ কেড়ে নেয়। একবার একছেলে মুখে তুলতেই কেমন যেন বিস্বাদ লাগে, সঙ্গেসঙ্গে উগলে ফেলে পুকুরঘাটে কয়েকবার কুলকুচি করে নেয়, ভেবেছিল মাটি-ফাটি হবে বোধহয় ; ঠিক তখনই ব্যাপারটা লক্ষ্য করে অন্যজন বলে --
" আরে তুই কী খেয়েছিস ? ...এই এই সবাই শোন, ও নাড়ু ভেবে কুকুরের ... "
আর দেখে কে, ' হক হক ' করে  সে-কী বমি ...

মাফ করবেন, আসলে সারমেয়র শুকনো বিষ্ঠা আর ঘরে বানানো চিনির ভিয়েনের নারকেল নাড়ু পার্থক্যটা ছিল সূক্ষ্ম। আর এখন তো প্রায় সবই বাজারী।
                                 -- জাহাঙ্গীর  হোসাইন