Tuesday, December 6

আলবিদা “আম্মা”

১৯৪৮-২০১৬
এক বর্ণময় জীবনের পরিসমাপ্তি ...........
রূপালী জগৎ থেকে রাজনীতির সফর .............. পিছু ছাড়েনি বিতর্ক , সমস্ত বিতর্ককে পেছনে ফেলে এক লড়াইয়েরই অন্য নাম হয়ে উঠেছিলেন জয়ললিতা। ....... যেখানেই থাকুন , ভালো থাকুন আপনি।।

Sunday, December 4

এঁরা সমাজের কারা

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস

আজ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস । প্রথমেই আমার সহযোদ্ধা প্রতিবন্ধী ভাই ও বোনেদের বয়স অনুযায়ী শ্রদ্ধা জানায় ।
“ জীবনের শারীরীক অক্ষমতা একটা খারাপ মনের মধ্যে বসবাস করে । সমাজের মর্য্যদার মধ্যে বসবাস করে । সামাজিকতার মধ্যে বসবাস করে । এমন কি ধর্মের ধর্মমতের মধ্যেও বসবাস করে । তাতে মানসিক অমর্য্যদা ঘটে । সামাজীক অমর্য্যদা ঘটে । তাই তোমার সমাজ , ধর্ম ও নৈতিকতার কাছে দায়ব্ধতা নাই । তুমি যেহেতু করুণার পাত্র । নৈতিকতার পাত্র নও। তাই তোমার পথটা আত্মবিশ্বাসের শক্তিতে উপলব্ধি করতে হবে । ”

“যে , যে পথ দিয়ে চলে চলে , তার গৃহে ফেরার পথ হয় সেইটি । যেহেতু তুমি প্রতিবন্ধী । তাই তোমার চলার পথ মস্তিষ্কের মধ্যে খোঁজ । মনোযোগ দাও তাতে তৈরী হবে তোমার বাঁচার পথ ।”

আমাদের দাবি ও প্রতিবাদঃ-
°°°°°°°°°′°°°°°°°°°°°°°°°°
@যে সব প্রতিবন্ধী কাজ করার মত সক্ষম তাদের কাজ দিতে হবে।

@যারা কাজ করার মত অক্ষম তাদের বাজার অনুযাযী পেনশন দিতে হবে ।

@ প্রত্যেক অফিস , স্কুল , কলেজ এবং বেসরকারি সংস্থায় প্রতিবন্ধী পরিবেশ দিতে হবে ।

@ যে কোন উৎসবে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে । যাতে তারা উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে ।

@ সারা ভারতে প্রত্যেক বাস্ট্যাণ্ডে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বাতরুমের ব্যবস্থা করতে হবে ।

@ প্রত্যেক জেলা ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল ও কলেজ তৈরী করতে হবে ।

@ সারা ভারতের প্রতিবন্ধীদের সরকারী আওতায় নিয়ে আসতে হবে ।

@সরকারী ভাবে প্রতিবন্ধী দের হুইলচেয়ার ও নানা প্রতিবন্ধী সরঞ্জাম দিতে হবে প্রতি বছর ।

@রেল ও বাসে প্রতিবন্ধী কার্ড ছাড়াই বিনাপয়সায় চলাচলের অনুমতি দিতে হবে । সেই ক্ষেত্রে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে ।

@যে সব প্রতিবন্ধী চিকিৎসা পেলে স্বাভাবিক জীবন পাবে তাদের চিকিৎসা ভার সরকারকে নিতে হবে ।

@প্রতিবন্ধীদের পেনশন প্রতি মাসেরটা প্রতিমাসে দিতে হবে ।

@যারা একদম অক্ষম প্রতিবন্ধী তাদের সরকারি হোমে রেখে বাকি জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হবে ।

@ প্রতিবন্ধী শব্দ তুলে দিয়ে লিখতে হবে “ অন্য উপায়ে সক্ষম” ।

শীতের আবির্ভাব

মোঃইমাম হোসেন দিদার

লাগছে গা য়ে শীতের আভা
সন্ধা হবার পারে,
আকাশ বাতাস পাহাড় ফুঁড়ে
শীতযে পড়ছে গা য়ে।

হালকা কাপড়-জামা পরে
যাবেনা বেরনো বাইরে,
মায়ের কথা,বেরোতে হলে
শীতের কাপড় চাইরে।

সকালবেলা শিশির পড়া
খুশিতে রাজ্য ভরা,
আবাল বৃদ্ধ সবাই দেখ
শীতের কাপড় পরা।

শীতের পিঠা মস্ত মজায়
চলে আসে তখন,
কী যে মজা খেতে এটা
যেন পুরো মাখন।

শীতের আভাস পড়ছে দেখ
শহর কিংবা গঞ্জে,
শীতের গীতে ভরবে প্রাণ আর
ভরবে সবার মন যে।

সুরে সুরে বেরিয়ে এল

নাড়ু  গসিপ্

~~~~~~~
সত্যিই পূজোর সময় সেইসব হরেক কিসিমের নাড়ু, খইভূজো আর হলুদরঙা মুড়ির সঙ্গে ডুমুরের ফলভাজা - সেএক স্মৃতিমেদুরতা !  কবেকার খাওয়া সহপাঠীদের বাড়ির নারকেল নাড়ু, তিলে নাড়ু এমনকি গুড়কলাই নাড়ুরও সেই সুস্বাদের কথা মনে পড়লে এখনও জিভে জল আসে ! শারদুৎসবের মাসদুয়েক আগেই আমরা ঠিক করে নিতাম সেবার কোন গ্রামে যাব।

দেখেছি রায়বাড়ির বয়ঃবিধবাকর্ত্রী ছোঁয়াছুঁয়ি এড়িয়ে দূর্গা-মণ্ডপে আসতেন দুধসাদা শাড়িতে মোহময়ী হয়ে, তিনি কি-যেন একটা শুরুয়াৎ করে দিয়েই গা-কাপড় বাঁচিয়ে আবার দরদালানে উঠে যেতেন। তারপরই ঢাক বাজত, বাড়ির অন্যান্য সদস্যা'রা শাঁখ বাজাত, উলুধ্বনি দিত ; সেইসঙ্গে চলত নাড়ু-উৎক্ষেপন।

আর তা নিয়ে ছেলে-ছোকরাদের হুড়োহুড়ি পড়ে যেত, সেগুলি কুড়িয়েই সটান মুখে পুরে দিত - পাছে অন্য কেউ কেড়ে নেয়। একবার একছেলে মুখে তুলতেই কেমন যেন বিস্বাদ লাগে, সঙ্গেসঙ্গে উগলে ফেলে পুকুরঘাটে কয়েকবার কুলকুচি করে নেয়, ভেবেছিল মাটি-ফাটি হবে বোধহয় ; ঠিক তখনই ব্যাপারটা লক্ষ্য করে অন্যজন বলে --
" আরে তুই কী খেয়েছিস ? ...এই এই সবাই শোন, ও নাড়ু ভেবে কুকুরের ... "
আর দেখে কে, ' হক হক ' করে  সে-কী বমি ...

মাফ করবেন, আসলে সারমেয়র শুকনো বিষ্ঠা আর ঘরে বানানো চিনির ভিয়েনের নারকেল নাড়ু পার্থক্যটা ছিল সূক্ষ্ম। আর এখন তো প্রায় সবই বাজারী।
                                 -- জাহাঙ্গীর  হোসাইন

লিভ্টুগেদারে

স্নিগ্ধসত্তা (সুলেখা সরকার)

পাশাপাশি দুটো পথ লিভ্টুগেদারে
কয়েক বছর
  সারি শাল সঞ্চিত শুকনো পাতা ঠেলে
  মাটির সন্ধান
  মিলিটারি ক্যাম্প ছাড়িয়ে তুই আমি
  চারটি পা
  মডেল ট্যাঙ্ক হেরিটেজ হবে ।
  উদবিড়ালের স্কাল্ প্ চার,
  টাইল্ স  কেটে মিলিটারিদের
  হোয়াইট্ - ব্রাউন্ খেলনা হাতি, 
  মাঠ পেরিয়ে  অন্য পথ
  যাবি ?
  অচেনা চেনা হবে ? 
লাল - কালো চুল হেলমেট্ -এ বাঁধা
  গাড়ির স্পিড্ রাস্তায়
  ভিডিওর ভিড় ফূডসেন্টারে
পত্রলেখা চোখের কোণটায়
হাত ছেড়ে যায় লাইফ স্টাইল
  একমিনিট ,  কন্ ডোলেন্স্।

গালে গড়ানো নীল ফেনা সমুদ্র হয়।।

বন ভোজন

ডাঃ অরুণ কুমার দাস

বনভোজন শেষ করে
মৃত্যুদন্ড নিয়ে বাড়িযাচ্ছে রাত
আমরা যারা অগ্নিস্বাক্ষী হতে এসেছি

সম্ভাবনাময় আগুনের চারপাশে 
ভিক্ষাজীবী - - -

নারীপুরুষ  নির্বিশেষ
জঠরাগ্নী নিভেগেলে জলঢালি
আরো আরো ট্রেন ঢুকেপড়ে
                           লোভ - কাম - ক্রোধ - - -

সহযাত্রী লাস্য ছড়ায়

রুমাল উড়িয়ে আমলকীবনে নতুন সকাল
আবার একদল ভ্রমনার্থী
বনভোজনের আয়োজন করে কাঠ সাজায়

কেউ পোড়ে
কেউ আগুন পোহায়

এ বং

রোদের লাস্য দেখতে দেখতে
এনাটমি বিশেষজ্ঞ দিন
নিত্যসম্ভব ঝর্নার পাশে দু- রকমের ঈশ্বর
সম্ভবত আমার আগের কোন জন্মের আত্মা
গাবাঁচিয়ে চলে যায়

শনিবার রাত গণিতপাঠের আনন্দ বিকোয়
মর্ত্যধামে

যেহেতু আমার মাপের আর একটা আমি
এখনো তেমন নিত্যযাত্রী নই
দৈনন্দিন কুড়িয়ে রাখি জানালার রোদ্দুরে

দূরদর্শীরা অন্তরীক্ষের নাদ শুনছে

আছে আর নেই এর যে কোনদিকে তর্ক
স্বরুপে ফিরি, ফিরতেই হয় -
গাবাঁচানোর দিকে মন
মন ভূ-গোল ব্যকরণ মিলিয়ে বিয়োগান্তক

কন্ঠস্বর তেমন জনান্তিক যেমন - দেশলাই
জ্বালানোর আগের সিগার ।